আষাঢ়ে বৃষ্টি দেখিয়া শুরু,দামোদরের ক্রন্দন ৷
সেই ক্রন্দনে সারা গাঁয়ে,আসিল মহা-প্লাবন ৷
ধানের ক্ষেত,চাষের ক্ষেত;সবই জলের তলায় ৷
চারিদিকে এক অশান্তির,বাতাবরণ সৃষ্টি বন্যায় ৷
গোরু,ছাগল,ভেড়া আরও যত গবাদি-পশু ৷
সবার সঙ্গেই বাস করিল,জমিদার-সুত বিশু ৷
বন্ধ হইল জুড়ীগাড়ি;বন্ধ গোরুর গাড়ি ৷
আর বন্ধ রবির হাট,খেয়া পারাপারি ৷
অথৈ জলে সব হাবুডুবু,মানুষও অসহায় ৷
তারই মাঝে কোলের শিশুরা মাতৃদুগ্ধ চায় ৷
ইচ্ছা থাকিলেও উপায় নেই--পরিস্থিতি এরূপ দাঁড়ায় ৷
ক্ষুধা নিবৃত্তির তরে লোকেরা;মুড়ি-চিঁড়ে,গুড় খায় ৷
দেখিতে দেখিতে সপ্তাহখানেক কাটিয়া গেলো যখন ৷
শুকাইয়া গেলো কান্নার জল,হাসিল সূর্য তখন ৷
ডালে ডালে খেচর ডাকে,ফুল ফুটিল শাখায় ৷
ধীরে ধীরে চাষবাস সব,আরম্ভ পুনরায় ৷
আকস্মিক বুধের বিকালে,মাঠের কাদায় নাটক ৷
নাট্য শেষে বুঝাইয়া দিল,'দামোদরের কান্না' সার্থক ৷
লোক চলাচল,ঘাট পারাপার;পুনরায় হইল চালু ৷
যে যার গৃহ ঠিক করিয়া,খাইল ভাতে আলু ৷
এবারের ন্যায় নদের কান্না,হইল বটে শেষ ৷
বছর পরে ঠিক পুনরায়,করিবে গাঁয়ে প্রবেশ ৷
বর্ষা আসিলেই কেন যে দামোদর;প্লাবন-কান্না ধরে ?
জানি নাকো কোন অভিশাপে;নাকি কোনো বরে ?