অনেক বছর আগের কথা,শোনো গো মন দিয়ে ৷
মানুষ তখন থাকত ভবে,ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ৷
কত মুনি ছিল আবার পাহাড়ে ধ্যানমগ্ন ৷
মানুষে মানুষে মিলন সমাজ;আত্মা পরম পুণ্য ৷
লড়াই ছিল না মানব মাঝে,লড়াই করত পশু ৷
সত্যপথে জীবন কাটাত;বৃদ্ধ হতে শিশু ৷
সুখের অভাব ছিল না তদা;ছিল না রাগ,হিংসা ৷
ভাগাভাগি মুক্ত সমাজ,নেইকো মনে কুত্সা ৷


অপরদিকে,চলত ভবে পাশবিক পশুর রাজ ৷
ঝগড়াঝাঁটি,মারামারি ছাড়া নেইকো কাজ ৷
কথায় কথায় দেওয়ানিগিরি,চরম বিশৃঙ্খলা ৷
ভ্রাতৃ-পশুর মিল ছিল না,শত্রুর কালবেলা ৷
মানুষের পরম সুখকে দেখে,পশুরা হিংসেয় জ্বলে ৷
তাইতো যাত্রা দেব সমীপে সকল পশুরা মিলে ৷
পশু জাতির শুভ কামনায় বরটি জানতে চাইল ৷
পশুরা মানব দেহ প্রাপ্তির ইচ্ছে প্রকাশ করল ৷


একটু হেসে সেই দেবতা বরটি তাদের দিল ৷
মানুষ তোরা হবই একদিন,সবুরে মেওয়া ফলল ৷
অতঃপর কেটে গেল,লক্ষ-লক্ষ বছর ৷
এতদিনে ফলপ্রসূ,পশুর;দেবতা-বর ৷
আজকের জনমানব সেই দেহধারী পশু ৷
মানব দেহ পেয়েছে বটে,পায়নি আত্মার কিছু ৷
পশুর দেহে লুকিয়ে আছে,সেই মানুষের আত্মা ৷
যারা তখন মানুষ রূপে কাটিয়েছিল যুগটা ৷


মানব দেহেয় পশুর আত্মা--এই তো মোদের পরিচয় ৷
আর,পশুর দেহে মানবাত্মা,নেইকো তাতে সংশয় ৷
সত্যি আজ দেখছি মোরা,পশুয়ে পশুয়ে মিল ৷
মনুষ্যত্বহীন মানবজাতির হিসেবে গরমিল ৷
পুত্র মারছে বিমাতাকে,স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া ৷
নিজ সম্পর্কে প্রশ্ন-চিহ্ন,সমাজে কলুষ-নোংরা ৷
শুধরে যাও হে মানবজাতি,নইলে অশনি বিপদ ৷
পশুরাত্মাকে মানবাত্মায়,রূপান্তরের নাও শপথ ৷