আলতা পায়ে,চুড়ি হাতে;নোলক পড়া নাকে ৷
লাল শাড়িতে গোরা তনু অজপাড়াগাঁয় থাকে ৷
কলসী হাতে নিয়ে কন্যা যাচ্ছে নদীর ঘাটে ৷
এদিক-সেদিক বলছে কথা আবার যেতে-যেতে ৷
পায়ের দলাই খেয়ে দূব্বা হাসছে মাথা তুলে ৷
আর নূপুরের ওই আওয়াজে বইছে বাতাস দুলে ৷
আকস্মিক তার আঁচলখানা আটকে গেলো কাঁটায় ৷
অঙ্গসৌষ্ঠব দেখে তার মনটা গেলো উতলায় ৷
অতীব সুন্দর ছিল মাইরি,অজপাড়াগাঁ'র মেয়েটি ৷
বদনখানার জ্যোচ্ছনাতেই যেন মোদের মিলন তিথি ৷
লাজুক মুখে হ্যাঁচকা টানে জড়াল আঁচল বক্ষে ৷
এমতাবস্থায় ভাবলাম,আলোর লজ্জা থেকে রক্ষে ৷
ঘাটে নেমে আলতো ভাবে নাড়াচ্ছে সে কলসী ৷
শূন্য কলসী পূর্ণ করে বলছে "মা'গো" আসছি ৷


কলসী ভরা জল নিয়ে সে যাচ্ছে এঁকে-বেঁকে ৷
হঠাত্‌ পিছন মুখ ফেরাতেই দেখল ছুঁড়ী মোকে ৷
দেখেই আমায় হয়তো ছুঁড়ী গেলো তাড়াতাড়ি ৷
ধান ক্ষেতের ওই দক্ষিণ পাশে কানন সনে বাড়ি ৷
মনের মতোন ছিল কানন;ফুল,ফল ও গাছে ৷
সামনে থেকে বলল ডেকে,এবার তো আসো কাছে ৷
কখন যে সে সামনে এল;লক্ষ্য করিনি আমি ৷
সিঁথিতে ভালোবাসার সিঁদুর পড়িয়ে দাও না স্বামী ৷
একে 'পরকে এত কাছে দেখে পেলাম লজ্জা ৷
এতক্ষণে মিলল মোদের গভীর প্রেমের মজ্জা ৷
হাতটি ধরে টেনে নিয়ে বলল আমায় ছুঁড়ী ৷
বিন্দুমাত্র কমবে না প্রেম,হই না যতই বুড়ি ৷
অজপাড়াগাঁয় থাকি আমি;আমার স্বর্গপুরী ৷
আমার প্রেমের হৃদয় দিয়েই করবো তোমায় চুরি ৷