গ্লােবালাইেজশন
-মহাদব দাশ
”গ্লাে বা লা ই জে শ ন” তুমি এসেছো গ্লােবা শব্দ থেকে
যার বাংলা অর্থ হলো বিশ্বায়ন।
তোমার উৎপত্তি ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাংগার পর
তুমিই বিশ্ব সীমানা, তুমিই বিশ্ব সম্প্রদায়।
তুমি বিশ্ববাসীর মাঝে সমন্বয় সাধন করো,আবার কখনো একীভুত করো
তুমি সীমারেখা হীন বিশ্ব ব্যব¯’া।
তোমার দ্বারা আমরা সমগ্র বিশ্বে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক তৈরী করি
তুমিই আধুনিক বিশ্বের জনক।
তোমার উদ্দেশ্য হলো, বাজার সম্পর্কিত আইন প্রনয়ন করা
সরকারী ব্যয় ও নিয়ন্ত্রন হ্রাস করা।
বিভিন্ন প্রকার সরকারী সম্পত্তি ধারনার বিলোপ সাধন করে
তা বেসরকারী আওতায় আনা।
আবার তুমি কখনো কখনো সমাজতন্ত্র ও নিয়ন্ত্রিত অর্থ ব্যব¯’ার উপর
গণতন্ত্র ও বাজার অর্থনীতির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করো।
তোমার পথ চলার গতি প্রচন্ড,তোমার কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে যেমন-
তুমি একটি জটীল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
তুমি কি জানো - নতুন কৌশলে নব্য উপনিবেশ বাদের জন্ম দিয়েছো তুমি
তুমি প্রযুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তুমি বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছো, সমস্ত বিশ্বের মধ্যে দুরত্ব কমিয়েছো
তুমি খুবই পরিবর্তনশীল।
তুমি উৎপাদন ব্যব¯’ায় পরিবর্তন এনেছো, একে অপরকে সহযোগীতার জন্য
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তুলেছো।
তুমি তথ্য প্রযুক্তির অবাধ বিকাশ সাধন করেছো, রেডিও টেলিভিশন মোবাইল
কম্পিউটার ইন্টারনেট দ্বারা সেতুরন্ধন করেছো।
তুমি একসময় খুব চাপে পড়েছিলে, যখন রাজতন্ত্রের জোয়ার ছিলো
কিš‘ আজ-তোমায় রূখবে কে ?
তোমার সাথে মুক্ত বাজার অর্থনীতির সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ, ব্যবসা বানিজ্য ই-কমার্স
সবই তোমার হাতের মুঠোয়।
তোমার জন্যে ব্যবসাতে মুনাফা পা”িছ বেশী, উৎপাদন ব্যব¯’ায় ব্যয় কমা”িছ
তুমিই এই শতকের যাদুকর।
তোমার দ্বারা উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন জ্ঞান দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আজকে-
আমরা কাজের দক্ষ কারিগর।
তুমি আপন গতিতে চলমান, তবুও তোমাকে বলছি- তোমার দ্বারা
অপসাংস্কৃতি ঢুকছে আমার দেশে।
আমার সংস্কৃতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, আমি শংকিত, আমি লজ্জিত
তবুও তুমি বিশ্বকে করেছ জয়।