গার্মেন্টসে, ফ্যাক্টরীতে, মার্কেটে, বিল্ডিংয়ে, বসতবাড়িতে সর্বত্রই আগুন!
পুড়ে ছারখার-ভষ্মীভুত, দগ্ধ গলিত লাশ, ঝরে গেছে তাজা প্রাণ।
আগুনের লেলিহান শিখার শিকার, কত স্বপ্ন, কত প্রাণ,
কত আশা-ভালবাসা প্রাণের সংহার
এ যেন নিত্য নিয়তি আগুন লাগার!
কেন এত্তো আগুন লাগে! গার্মেন্টসে বারবার,
কেউ বলে নাশকতা, চক্রান্ত, কেউ বলে বিদেশী ষড়যন্ত্র,
কার বিরুদ্ধে কে ষড়যন্ত্র করবে? কেন করবে চক্রান্ত?
সবাই তো অভাবী, অভাগা-দূর্ভাগা, ভুক্তভোগী!
প্রাণ যায় গরীবের, পেটে লাথি পড়ে খেটে খাওয়া মজুরের
মালিকের ঘোষণা-লাশ প্রতি, হাজার-লক্ষ টাকা,
এ যেন লাশের প্রতি পরিহাস!


তদন্ত কমিটি করা হয়, উপরওয়ালার নির্দেশে
রির্পোট যায় গরীবের বিপক্ষে, নিহতের বিরুদ্ধে।
অনেক তদন্ত রির্পোট আলোর মুখ দেখে না,ভ্রুণ হত্যার ন্যায়
ফরমায়েশী রির্পোট-বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে,
শ্রমিক অসন্তোষ, চুলা থেকে আগুনের উৎপত্তি।
একদা আগুনে আমাদের পাট গুদাম, খাদ্য গুদাম সবকিছু
সর্বশান্ত হয়েছিল, দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে ছিল জনগণ
গরীবের জীবন নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা হয়!


দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে, ঈমান-আকিদার বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্রের দাবানল ছড়িয়ে দেয়া পরিকল্পিতভাবে
গার্মেন্টসের আগুন নিভলেও অশান্তির দাবানল নিভছে না,
সময়, সুযোগ ও লোভে পড়ে দুনিয়ার মোহে
শকুনের দল তাদের সাথে হাত মিলায়, আখের গুছায়,
একসময় সর্বনাশ হয় সবারই, খেলারামের খেলার অন্ত নেই।
মানবাধিকার নিয়ে গলা ফাটা চিৎকার দেয়া হয়,
আরে! আমরা তো সাম্রাজ্যবাদের ভাষায় তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক,
আমাদের কি বেঁচে থাকার অধিকার আছে ?
তাদের হাজার হাজার হত্যাকান্ড কিছুই না ?
টন টন বোমা নিক্ষেপ-এপাচি, মিগ-২৯
আমাদের জীবনের মূল্য কি আছে এই পৃথিবীতে ?


জীবনের মূল্য সেই জানে-যে দিয়েছে এই জীবন।
যার ঘোষণা, একটি নিরপরাধ হত্যা মানেই
সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে হত্যা করা
এরপরও কেন যে মানুষ হতাকা- থেকে নিবৃত হয় না!