রাজা জানত সিংহাসন তারই হবে
আর কিছু কুকুর শেয়ালও তৈরী ছিল
মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দিবার জন্য
যদিও মাঠে, ঘাটে, রাস্তায় তখনও
চলছিল টিকটিকির লাফা-লাফি,
কিন্তু শক্তিহীন ভাঙ্গা ঠ‌্যাংগে টিকটিকি
                  আর কতদূর এগুবে ?


কুয়োর ব্যাঙ যখন নদী পেয়েছিল
তখনই সবাই জেনে গিয়েছিল,
এ ব্যাঙ এবার সাগর চেয়ে বসবে;
কিন্তু সাগরে পৌছানো ততটা সহজ ছিলনা ।
রক্তের নদী পেরিয়ে ভাঙ্গা ঘর
বৃদ্ধা মায়ের শূন্য বুক
অবুঝ শিশুর দীশাহীন দৃষ্টি, আর
কুল বঁধূর অসহায় ভবিষ্যৎ
-এসবই তুচ্ছ ক্ষুধার্ত রাজার কাছে ।


খোশ মেজাজী রাজা
এখনও উদরপূর্তি করে চলেছে
প্রতিদিন ড্রাম ড্রাম রক্ত সরবরাহ করছে মন্ত্রীরা
তাই দিয়ে রাজা গোসল করছে পরম আনন্দে;
টিকটিকিরা আটকা পড়ছে মাকড়শার জালে
আর রাজা ভেংচি কাটছে
লাশকাটা ঘরে আর কি স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ ?