কষ্ট দিয়ে এবার একটা হাত পাখা বানাব
সারা গায়ে ছড়িয়ে দেব কষ্টের বাতাস
কষ্টরাও স্বস্তি দিবে আমাকে ।


যখন
সদ্য খোকা খৈ ভাজা রোদে দৌড়াতে পারেনি
উদ্যাম বৃষ্টিতে মনের আনন্দে ভিজতে পারেনি
বৈশাখী ঝড়ে লাফ দিয়ে আম কুড়াতে পারেনি
মনের উচ্ছ্বাসে ভাঙ্গতে পারেনি সবুজ ফসল,
নদীর পাড়, কানু মাঝির নৌকা, ওপারের রাস্তা;
তখন
মমতার বারণ কেবলি বাড়িয়েছে অভিমানের কষ্ট ।
ঘুম ভাঙ্গা কিশোর দেখেছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
উপদেশ আর আশীর্বাদে অবুঝ যৌবন
বার বার পেয়েছে বিরক্তির কষ্ট ।


আজ বড় স্বাধীন আমি
কাঠ ফাঁটা রোদে মাইলের পর মাইল দৌড়াতে পারি
মুশলধারে বৃষ্টিতে ভিজতে পারি ঘন্টার পর ঘন্টা
ভাঙ্গতে পারি নদীর পাড়, খেয়া ঘাটের নৌকা, ওপারের রাস্তা
সব
নেই কারু বারণ, তীক্ষ্ণ দৃষ্টি কিংবা উপদেশের ফুলঝুড়ি ।
কষ্টরা আজ গিয়েছে দূরে, ধূসর মেঘে, নীল আকাশে
অন্ধকারে নক্ষত্রের জগতে গিয়েছে প্রিয় কষ্টেরা আমার
কষ্টের জন্যই আজ আমার বড় কষ্ট হয় ।
ফিরে এসো কষ্টেরা আমার, এই আলো-আঁধার ভেঙ্গে
সেই স্নেহ-মমতার আশীষ নিয়ে, জীবনে আমার ।