যখন গতানুগতিক সরল রেখায় এসে দাঁড়ায়
                                  ভাসমান সময়
তখন কষ্টগুলো মেনে নিতে হয়,
বোধের সীমারেখায় দেখি আকাশের শূন্যতা
প্রত্যাশার পাপড়িগুলো দগ্ধ হয় কামনার হাটে,
আমার সব চাওয়া-পাওয়া হয়ে যায় পণ্য
তোমার রঙ্গালয়ের লোভের বাজারে ।
আমি ভাঙ্গতে থাকি, পাশা-পাশি
গড়তেও থাকি ঐশ্বর্য্যের সমাহার ।
তারপর এই সব ঐশ্বর্য্যের আলো
আমাকে নিয়ে যায় অন্ধকারের চোরাবালিতে
সেখানে আমি তলিয়ে যাবার আগে-
শেষবারের মত বেঁচে উঠি এক বুক শূন্যতায় ।
হয়ত শূন্যতায়'ই আমার সর্বোচ্চ চাওয়া ছিল ।


তারপর থেকে
টলটলে নদীর জলে দেখি নীলাভ শূন্যতা
অধরা দিগন্ত চেয়ে রয় সীমাহীন শূন্যতায় ।
এখন আমি প্রতিদিন নির্মাণ করি শূন্যতার
                                  বসত-বাড়ি,
কখনও বন্ধ দুয়ার থেকে নীল আকাশে
আবার কখনও সবুজ দিগন্ত থেকে গভীর সমুদ্রে ।