ছমিরন এর গার্মেন্টস এ চাকুরীর জীবন
তিন হাজার একশো পন্চাশ টাকা বেতন,
ষোলশো টাকা দিতে হয় মাসে ঘর ভাড়া,
একমাত্র মেয়েকে কাছে রাখার সামর্থ নেই, তাই
মায়ের কাছে পাঠাতে হয় প্রতি মাসে পাঁচশো টাকা
পুষ্টিকর খাবারের কথা বাদ দিলেও মাসে
লাগে এক হাজার টাকা । ওভার টাইম আছে বলে
এখনও সে মরার মতো বেঁচে আছে ।


দূর থেকে শ্রমীক আন্দোলন আগেও দেখেছে ছমিরন
এতে কোন লাভ হয়না, রক্ত চোষা মালিক পক্ষ্য
মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুযোগ মত কেঁটে পড়ে
মাঝ থেকে মরা মানুষগুলো খায় লাঠির বাড়ি ।


গত ঈদে মেয়েকে নতুন পোশাক দিতে পারেনি বলে
চোখের জলে নিবৃত্ত হয়েছে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ।
পণ করেছে এবার ঈদে মেয়েকে নতুন পোশাক দিবেই সে ।
বাইরে চলছে উত্তাল শ্রমীক আন্দোলন
সে বাদে সবাই যোগ দিয়েছে আন্দোলনে,
হঠাৎ ছমিরনের মনে পড়ল মেয়ের অভিমানী মুখ
চোয়াল শক্ত হয়ে খোলা হাত হলো মুষ্ঠিবদ্ধ
না, এবার সে আর চুপচাপ থাকবেনা
একটা ইটের টুকরো হাতে নিয়ে মিশে গেল মিছিলে
কিন্তু সেটি ছুড়ে মারার আগেই
পুলিশের লাঠির বাড়িতে তার হাতের কব্জি ভেঙ্গে গেল ।


ছমিরন এর স্বপ্ন এখন গুটিশুটি হয়ে পড়ে থাকা
হাসপাতালের ফ্লোরে, ভাঙ্গা কব্জিতে ।