পথের ধারে চাহিয়া দেখি
                    পড়িয়া আছে হায়
নস্র-কর্ণ হতে রক্ত পড়িয়া
                     পথ ভিজিয়া যায়
মরণব্যাধি ক্যান্সার আঘাত
                         হানিছে তারে
বাজার করিতে গিয়া
                 পথে দেখিলাম যারে
জমিয়াছে কতো মানুষের ভীড়
                   রম্র দেখিবার তরে
ভাবিছে তারা কিরে এখনো
                   বৃদ্ধা কেন না মরে
বৃদ্ধা বেচারী লুটিছে মাটিতে
                     ধুলো রক্তে লাল
ভাবিছে বোধ হয় কোন যুগে আছি
                   এ কোন কলি কাল
আসিল এক বালক সেখানে
                  ভীড় দেখিতে পেয়ে
বৃদ্ধার করুণ মূর্তি দেখিয়া
                বিবেক যায় তার নড়ে
শোকে দুখে ক্ষোপে কোমল চক্ষু
                      রক্তিম হয়ে যায়
কেমনে মানুষ বৃদ্ধার অবস্থা
                    চুপ করি দেখে রয়
বালক তাহাকে নিল বুকেতে
                        মুছিল রক্ত যত
বৃদ্ধা লুটিয়ে পড়িল কান্নায়
                   ছোট্ট শিশুটির মতো
অশ্রুসিক্ত বৃদ্ধা কহে
              সে যেতে চায় তার বাড়ি
কবর যেন হয় তার গ্রামে
           জানাযা পড়িবে ছেলে তারি
বালক তখন উঠিয়া দাঁড়াইলো
                    ডাকিল মোটরগাড়ি
ভাবিছে সে দৃঢ় মনে
           সে নিয়ে যাবে বৃদ্ধাকে বাড়ি
ভীর ক্রমশ বাড়িতে লাগিল
               সবাই দিতে লাগিত উঁকি
দূর থেকে দেখিছে চরম খেলা
                    না নিয়ে কোনো ঝুঁকি
কিছুর হঠাৎ ভাবোদয় হইল
                        দিল দু-চার টাকা
চলিয়া গেল সেখান থেকে
                    পড়িল মানবতা ঢাকা