দর্শন আর সাহিত্য যেন মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ ৷
দর্শন যেখানে সরাসরি জীবনের জটিল জট ছাড়াবার,রহস্য বোঝার চেষ্টা করে, সাহিত্য একটা প্রচেষ্টা চালায় আরো সুক্ষ্ণ, পরোক্ষভাবে ৷ দার্শনিকরা সাহিত্যকে বেছে নিয়েছেন তাদের মতবাদের আয়না রূপে ৷
উত্তর আধুনিক দর্শনও সাহিত্য সমালোচনা থেকে বিচ্ছিন্ন নয় ৷ এই দর্শন সাহিত্যকে নিজের মতো করে বোঝার ও বোঝাবার চেষ্ঠা করে ৷ সাহিত্যের ভাষা, তাকে গ্রহনযোগ্য, এমনকি মোহময়, আনন্দের উৎস করে তোলে ৷
বর্ণ,গন্ধ,স্পর্শ পরস্পরের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলে ৷ একে অন্যের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে ৷
সাধারণত কবিতার সমালোচনায় আমরা কী দেখি?
বিষয় ও শৈলী,বক্তব্য ও বিন্যাস নিয়ে আলোচনা ৷
কবির ব্যক্তিগত জীবন বা সমসাময়িক পরিবেশ কবিতার উপর ছায়া ফেলেছে কি না,তাই নিয়ে প্রশ্ন ৷
   উৎস কেন কবিতায় ধরা যায় না,কবিতায় ধরা দেয় না বলেই তা কেন উৎস,এই তার জটিল চিন্তার লক্ষ্য ৷ দার্শনিক জাক দেরিদা ভাষার গোপন অর্থের উপর জোর দিয়েছেন ৷আর দার্শনিক মালার্মের সাধনা ছিল,কবিতার ভাষাকে যথাসম্ভব অর্থের বন্ধন থেকে মুক্ত করে সঙ্গীতের মতো বিশুদ্ধ,বিমূর্ত সৌন্দর্যের স্তরে নিয়ে a ৷ দেরিদা মালার্মের রচনায় যা শূন্য,অনুপস্থিত,তাও ৷
সাদা কি রঙ নয়?
   উত্তর আধুনিকারা নানা দিক থেকে সাহিত্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন ৷তাদের কোনো কোনো পদ্ধতি বেশ সাবেকি, যদিও নতুন লেবেল লাগানো ৷
বিনির্মাণ হিসেবে তারা যে পথে অগ্রসর হয়েছিল, তা খানিকটা textual analysis এর সগোত্র ৷
  
   সবশেষে বলতে পারি ভাষা,টেকসট ও লেখকের মৃত্যু ঘোষণা করে যে দর্শন জন্ম নিয়েছে, ভাষা টেকসট ও লেখক সমন্ধে তার ছড়ানো আলো নৈরাজ্য বাদের পাশাপাশি লাভের বিষয় ৷ এ নিয়ে আরো অনেক কিছু বোঝার, বলার, নির্মাণ বা বি—নির্মাণ করার আছে৷৷