পদ্মার তীর, স্নিগ্ধ সমীর
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তুমি
নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে স্থির।
কিন্তু হঠাৎ চোখাচোখিতে
মনে বয়ে গিয়েছিল বিদ্যুতের ঝলক,
আমিও হয়েছিলাম অস্থির।
ছিল তোমার ঠোঁটের কোণে
এক টুকরো বাঁকা হাসি,
হৃদ্স্পন্দনটা আমার বেড়েছিল বড্ড বেশি,
দুরুদুরু কাঁপছিল তনুমন,
এটাই বুঝি ভরা যৌবন।
হঠাৎ দখিনা বাতাসে
উড়ছিল এলোমেলো তোমার কেশ,
আমিও দাঁড়িয়ে দেখছিলাম তোমাকে
লাগছিল কিন্তু বেশ।
হৃদয়ের আবেগ কে পারে রুধিতে,
আমি নয়তো এমন মানুষ এ পৃথিবীতে বিশেষ।
তোমার দুচোখে দেখেছি শুধুই বিশ্বাস,
ছিল হয়তো ভালোবাসার স্বপ্ন।
যদিও আমি পাশে না থাকি তোমার,
শুভেচ্ছাভরে করি প্রার্থনা আসুক জীবনে
তোমার ভালোবাসার নতুন লগ্ন।
তোমার পরশে ধন্য ছিলাম
সত্যি তোমার ভালোবাসার কাঙাল ছিলাম।
হোক-না যা-কিছুই, সর্বদা থাকব তোমার পাশে
আনন্দে ভালোবেসে, বিশ্বাস আমাকে
একবার করো থেকে আমার পাশে।
তোমার হাসিতে ছিল জাদু
এসেছিল ভালোবাসার নদীতে বান,
ভাবি হৃদয় আমার হবে খানখান,
না পেলে তোমায় কেমনে কাটাব
এ দুনিয়া হবে মনে শুনশান।
হতে কি পারব আমি ভাগ্যবান?
আসলেই আমি চিরধন্য ও পূর্ণ হলাম,
তুমি বুঝেছিলে আমাকে শেষে।
ধরেছিলে শক্ত করে আমার দুটি হাত,
কথা দিয়েছিলে সকল বিপদে আপদে
থাকবে আমার পাশে, সকাল সাঁজে সন্ধ্যায়
আজীবন ভালোবেসে।