সারাদিনের ক্লান্তিকর বৈরাগী জীবনের বহু কসরত বয়ে
দৈনন্দিন জ্বালা যন্ত্রণার পৌনঃপুনিক তীব্র মাত্রা সয়ে
আমি ভেসে চলেছি বন্ধনহীন জীবনের এক অদৃষ্ট গন্তব্যে
যেখানে ঐশ্বরিক আলেয়ার এক অপূর্ব ছটা আমাকে আগলে রাখে সারাক্ষণ
আমার দেহ মনে বয়ে যায় আত্মিক প্রশান্তির নবহিল্লোল
হৃদয় প্রকোষ্ঠে জ্বলে ওঠে অনির্বাণ দীপশিখা
ঘুচে যায় ক্লান্তি ও বিষাদের নীল আভা
হারিয়ে যাই আমি ত্রিভুবনের অনন্ত রাজ্যে
ছাড়িয়ে যাই আমি সৃষ্টির শেষ সীমানা
অতিক্রম করি সিদ্রাতুল মুনতাহা
প্রবেশ করি আল্লাহর আরশে
মনে হয় সিক্ত হই মহামহিমের পরশে
যে পরশের আকাঙ্ক্ষায় সাধকের দল ঐকান্তিক প্রহর গোনে আমৃত্যু