পুকুর পাড়ে সিড়ির ঘাটলা,
শ্যাওলায় পড়ছে ঢাকা।
ঝোপঝাড়ে ভড়ে উঠেছে!
পুকুরের চারদিকটা।


না আসে পাড়ার ছেলেপুলে!
এক সময় সাঁতার দিয়ে পারহতো,
নাইতে আসতো দলে দলে!


গ্রীষ্মের কাঠফাটা রৌদ্দুরে,,
পুকুরের বুকে ঝাপিয়ে পড়তো,
ছোট বড় সবে।


শীতের কনকনে ঠান্ডায়,
কতযে বাহনা, কত যে অঙ্গিভঙ্গি।
আছে মানুষের জানা।
এক বেলা লাগিতো সারা করিতে নাওয়া।
সিড়ির বুকে রোদ পুহাতো,
নাওয়া শেষে সবে!
কেউবা আবার এক দৌড়ে বাড়ির উঠানে।


কেউ বা আবার পোশাক আনিতো,
রাখিতো সিড়ির উপরে।
নাওয়া শেষ বদলিয়ে কাপড়,
গল্পে দিতো ডুপ!
আছে যতো চেনা জানা।
খোঁজ নিতো,নিস্বার্থ সে ভালোবাসা।


কত গল্প হতো বলা,,
কত লোকের কাহিনী রয়েছে জানা।
এখন আর কেউ আসে,,,
পানি নিতে ঘাটে।
সিড়ির ঘাটলা ভেঙ্গে যাচ্ছে!
অবহেলায় অযত্নে।


সুন্দর কত আল্পনা দিতো,
নতুন বধু নাইতে আসতো -
আলতা রাঙা পায়।
ইহা এখন বেশ পুরনো গল্পে শুধু মানায়।