সেদিন আকাশে মেঘ ছিল না!
তবুও বজ্রপাত হয়ে ছিল মাথায়!
বৃষ্টি ছিল না ভুবনে,, তবুও পান্জাবি টা ভিজে ছিল জলে!


থমকে গেছে হয়তো সময়,, বাকরুদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে!
শুধু দেখেছি চেয়ে দু নয়নে!
অপলক দৃষ্টিতে মন ভরে শেষ দেখা দেখেছিলাম মা জননীকে!


হয়তো মা বলে ডাকবো,- শুধু উওর আসবে না  
আঁচল দিয়ে কোলের কাছে আগলে আর কেউ রাখবে না।!
দুপুরের রোদ ছিড়ে,, খুজে এনে ঘুমাবে না আমায়!
হারিয়ে গেছে,,, বহু  অজানায়।


লোকের ভিড়ে, স্তব্ধ হয়ে  বসে ছিলাম মায়ের পাশে!
সবে কত কি বলিল আমায়,, শুধু মায় দেখলো না চেয়ে!
বললো না কিরে বাছা,, চোখে কেন পানি?
বক্ষে ধরলো না টানি!
ঘুমিয়েছিল সে নিশ্চিন্তে,,
আমিই শুধু ভাবি আর দেখবো না এ মমতার মুখ খানি!


আড়াল করে গোসল দিল বড়ই পাতা গরম পানিতে!
সাদা কাফন পড়াইয়া শুয়ায়লো খাটে!
উওরেতে রাখিয়া মাথা,,, পশ্চিমে রাখিল খাটিয়া!
কাতার করে দাড়িয়ে সব,, দিল জানাযা।


চার জনে কাঁধে তুলে দিয়ে আসলাম কবর!
হলো তাও বিশ-ত্রিশ বছর!
এখনো চোখে ভাসে সেই দিনের ছবি!
তবু মা এলো না দেখতে আমার মুখখানি!


মাঝে মাঝে তাও দেখতে যেতাম কবর খানা!
লতাপাতায় আচ্ছাদিত হয়ে ঝোপেঝাড়ে পড়তো ঢাকা!
নতুন করে দিতাম বাঁশের বেরা,,,হতো নতুন মতো!
এখন বহু বছর হয়,,, যাওয়া হয় না সেথা!
ঝোপঝাড়  হয়ে, ঢেকে গেছে!
মায়ের কবর খানা।


সময় যাচ্ছে চলে, আমি মায়ের যাওয়া পথে!
চুল পাকিছে,, দাড়ি হয়ছে সাদা!
হাত পায়ে বল নেই তেমন, পিট হইছে বাঁকা!
লাঠি দিয়ে চলি টুকটাক!
কবে জানি যাই পরে।
আমি মরিলে কবর দিও - বাপ
আমার মায়ের পাশে!