চামচা আছে সবখানে।
নেতা বলে সুর্য উঠে পুর্বে না পশ্চিমে,
চেলা বলে ঠিক বলেছেন সুর্য উঠে ‍‍পশ্চিমে ।
কালবৈশাখী ঝড় বইছে উত্তরে না দক্ষিণে,
জ্বি ওস্তাদ কালবৈশাখী দক্ষিণে ।
চামচা আছে সবখানে  ।


গ্রামগঞ্জের মাতব্বর --
বিচার শালিশ করছে বসে পা দুলিয়ে চেয়ারে ,
তাই দেখে সব বলছে কথা হাত পাখাটা নিয়াইরে,
মাতব্বরের ঘামছে মাথা কেমনে আছি দাড়িয়ে।
দিচ্ছে বাতাস গরিবজন চিল্লা বলে ধনীজন ।
চুল ওড়ে না বাতাসে ,
হাত পাখাটা আমায় দে ।
ক‍্যামন করে দিচ্ছি বাতাস দেখে নে ,
চামচা আছে সবখানে ।


হাত মাথাটা নিচু করে ডাকাত বাড়ির পাশ দিয়ে
চলছে হেটে হরিজন ,
চোখ রাঙ্গিয়ে বলছে হেকে অন্যজন ।
          ঐ - হারামজাদা -
পায়ের জুতা খুলে তুই হাতে নে,
জানোস না তুই ডাকাত বাড়ি -
সম্মান দেয় সবজনে ,
চামচা আছে সবখানে ।


মালিক বসে হিসেব কষে কর্মচারীর মাইনা নিয়ে
ভাবছেন বসে ঝিমিয়ে ।
ভাবছেন কি স্যার ? ভাবনা কিসের ?
সে দায়িত্ব আমায় দেন ।
মালিকের চাটুকার বলছে তাকে বারবার
সব কাজ তো আমি করি ,
এরা শুধু কলাগাছ বেতন নিচ্ছে বারো মাস ।
মালিকের দিন চলে না বেতন-বোনাস কম নে ,
ঠিক বলেছিস গোমস্তা তুই --
চামচার বেটা চামচা ।
           জ্বি স্যার!
মালিক কি বলেছে তাও বুঝে সে
জ্বি বলেছে চামচা ।
আপনার মত জ্ঞানী আছেন কয়জনে
চামচা আছে সবখানে ।


আল্লাহ চাহে বান্দাকে আর বান্দা ডাকে  আল্লাহকে ,
রাসূল কাঁদে উম্মাতি আর উম্মাতি ।    
               হে আল্লাহ   !
আমার উম্মত জাহান্নামী নয় ,
হয় যেন সব জান্নাতি ।
গোমড়া মুখে হিংসায় কহে শয়তানে ,
চামচা আছে সবখানে ।