জীবনের ঘরে মোর ঠাঁই হবে না কখনো
শত যুগযুগ মানুষের সাথে কভু,
জীবনের সুখ জীবনের দুঃখ চলবে আপন পথে,
তবু একদিন আমি রব না সবার মাঝে।
রবে না আমার হাসি,
রবে না আমার কান্না,
রয়ে যাবে তবু পৃথিবীটা পৃথিবীর প্রয়োজনে।
এমন সুন্দর পৃথিবীটা ছেড়ে
কয়জনই বা চাই মরে যেতে, বল!
পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ
মুছে যাবে আমার শরীর থেকে একদিন।
ক্ষণজীবনের হাসি-বেদনায়
মানুষ বাঁচতে চাই চিরজীবনের তরে।
একদিন রব না রব না আমি চিরদিন,
যেদিন ফুরিয়ে যাবে বাঁচবার যত সুর,
ঘুমিয়ে পড়বে চোখের ভেতরে চোখ,
শুনবে না আর শব্দময় পৃথিবীর কথা।
সেদিন দেখব মানুষের ঢল নামবে ঘরের মুখে,
যেদিন নীরবে চিরতরে বন্ধ হবে স্পন্দনের
খেলা।
বেঁচে রব যতক্ষণ এই নশ্বর সংসারে,
অবিনশ্বর কীর্তির সৃষ্টি যেন রেখে যেতে
পারি।
কর্ম ছাড়া মর্ম নেই এই জীবনের,
যারা বেঁচেছিল আজো বেঁচে আছে
আমাদের পৃথিবীর মানুষের কাছে,
তারা শিখিয়েছে আমাদের
কীভাবে বাঁচতে হয় অমরত্ব লাভ করে।
জীবনের হিসেব মিলাতে গিয়ে থমকে
গিয়েছি বারবার,
রেখে যাওয়ার মতন কিছুই করিনি;
পৃথিবীটা চাই আমার অমূল্য দান,
আমার ফসল নিবে ত্রস্তহাতে মুঠোভরা
গানে।