কতকাল ধরে শূন্য তটিনীর তীরে বসে আছি,
বসতে থাকতে থাকতে বেলার পর বেলা চলে গেল।
তবুও এলে না তুমি,
বসলে না বিশাল অট্টালিকার মধ্যখানে।
বিছিয়ে রেখেছি অনন্ত শীতলপাটি অনন্তের পর অনন্তনিদ্রায়,
লিখেছি গভীর ধ্যানে জাগরণের কবিতাগুচ্ছ।
জীবনের জোয়ারভাটায় ভেসে চলি মন্থরগতির ন্যায়,
কবে ফুলে উঠবে নদীর তলপেট অনিশ্চিত বৃষ্টির না থামা ক্ষণে।
সংসারের শিরোমণি হয়ে কোনো এক চারুবেলা
চারু বউ প্রবেশ করুক মুখরহীন গৃহের মাঝে।
আমার এ গৃহ আর কারো নয়,
তোমার অপেক্ষা করে করে কত শব্দহীন কাল কেটে যায়,
ঘরের ভেতরে নেমে আসে মৃত্যুর অসীম অন্ধকার।
আমার ভেতরে একটি বাগান যত্নহীনভাবে পড়ে আছে,
এই বাগানের অধিপতি হয়ে তুমি নিয়মিত দেখাশোনা করো।
ফুরাতে ফুরাতে ফুরায়নি আজো অপেক্ষার চিরকাল,
ক্ষণকালে বসে চিরকালের সে ধনটারে কাছে ডাকি।
ঘুমহীন চোখে তবু স্বপ্নময় ঘুমের জগতে
নীরবে ঘুমাব অবিরাম উল্লাসের অকৃত্রিম মায়ার ছায়ায়।
যেখানেই থাকো যত সুদূরের পানে,
লেনাদেনা করো অনুভূতি সব টেলিপ্যাথির নিয়মে।