তোমার এক চোখে বৈশাখ, অন্য চোখে শ্রাবণ
বলো আমার হৃদয় পুড়বে নাকি জলে ভাসবে?
যখনই ছুঁয়ে দিতে চাই শ্রাবণমেঘের অবারিত ধারা,
দেখি পায়ের নিচে উত্তপ্ত পিচঢালা পথ।
আমি অর্ধেক পুড়ে যাই, অর্ধেক প্লাবিত হই।


তোমার এক চোখে সাগর, আরেক চোখে মরুভূমি।
সাগরজলে যেই না শরীর জুড়াতে চাই, দেখি জল হয়ে যায় প্রহেলিকা,
সৈকতে হাঁটতে গিয়ে দেখি বেদুইনের দল ধেয়ে আসছে!
আমি তখন অর্ধেক ধূলোমাখা প্রলাপ, অর্ধেক নোনা পবনের বিদারণ।


তোমার এক চোখে গোলাপ, অন্য চোখে কন্টক
আমি অর্ধেক প্রস্ফুটিত , অর্ধেক ক্রন্দন।
তোমার এক চোখে ধ্বংস, অন্য চোখে সৃষ্টি
আমি অর্ধেক জীবাশ্ম, অর্ধেক স্পন্দন।


অথচ তোমার দুচোখেই প্রেম, কি আশ্চর্য প্রহসন!
তখন আর অর্ধেক বলে থাকে না কিছুই,
আমি হয়ে উঠি জোছনার গর্ভে জন্ম নেওয়া বন্দী  নির্বাসন।