*         হিমেল বায়ে লাগলো কাঁপন
                    জয়শ্রী কর


      হিমেল বায়ে লাগলো কাঁপন বনে বনে
         ঝরছে পাতা ঝুরুঝুরু ক্ষণে ক্ষণে।
প্রবল শীতে দুর্বিপাকে আসছে পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে
       ঝিলের বুকে দাপায় ওরা হরষ মনে।

       শীত আসে তাঁর অনুসারী সঙ্গে নিয়ে
     উত্তুরে তাই হাওয়া ঢোকে জানলা দিয়ে।
হিমের পরশ লাগছে গায়ে দিচ্ছে চুমুক গরম চায়ে
      ওমের আশায় নরম রোদে বসে গিয়ে।


     পৌষ-অঘ্রানে মুখর ভুবন চাষির গানে
     মুখে হাসি ভরবে গোলা সোনার ধানে।
সবার ঘরে পুলি পিঠে গুড় মাখালে দারুণ মিঠে
     শৈত্য আসে বইমেলাতে কীসের টানে।


     ঝলমলে রোদ নৃত্য করে সবুজ পাতায়
    ফুলকলিদের অঙ্গ দোলে হিমেল হাওয়ায়।
মেতে ওঠে বনভোজনে শালপিয়ালের গহিন বনে
     মহুল ফুলের মিষ্টি সুবাস মনকে মাতায়।


  রবির আলোয় খুশির আমেজ ধরার বুকে
   আগুন জ্বালায় গরিব-দুঃখী মনের সুখে।
কত ভাষা ফুটে ওঠে ফেটে যাওয়া শুষ্ক ঠোঁটে
    সুখের সাথে দুঃখের পরশ চোখে মুখে।


        গাঁ-শহরে এখন বসে নানান মেলা
      নাগরদোলা ছাড়াও বসে নানান খেলা।
কচিকাঁচা খুশির তোড়ে পাখির মতো এখন ওড়ে
      মেলায় গিয়ে মজা ক'রে কাটায় বেলা।