ঘোমটা দিয়ে উঁকি চাহনিতে মায়া মুখের মিষ্টি মমতা এখনও জুড়াই প্রান ।
কালো কেশের কুলোবনে বেলি ফুল রজনীগন্ধার সুভাস অমৃত তার ঘ্রান ।
আলতার অগ্রসর অগ্রগামীর পথ চলা চলন্ত চোখের টান ।
নিম্ন নূপুরের নৃত্যের তালে টালবাহানা হাঁটার কৌশলে কলুষিত মনগ্রন্থি খান ।
ভবঘুরে ভাবনার ব্যস্ততার বেড়াজালে রূপের আগুনে আমি দগ্ধ ।
কপালের কোনে কাজলের কিনারে ভেসে ভেসে আমি ডুবন্ত ।
ঘোরাফেরা ঘুমের ঘরে ঘূর্ণায়মান স্বপ্নের সাগরে আমি মগ্ন ।
হতাহত হঠাৎ হট্টগোলের হানাহানির রূপে খুঁজে পাওয়াই আমি আরোগ্য ।
ঘটকের ঘটনায় গৃহীত গুপ্তচরের গন্তব্যে পাওয়া ছবির আভাস খানি ।
শত বার শত শত সুরের সূর্য কোনায় কোনায় মুছে ফেলে সব গ্লানি ।
আশপাশের আঙিনায় আবোলতাবোল নজরদারির নলকূপে দেখার শত পরিকল্পনা ।
বিয়ে বধূ বাধন পাগল পাগলামির রটে যাওয়া অতশত জল্পনা ।
বাসর বউ ভয়ভীতির অন্তরালে একটুখানি ছুঁয়ে দেখার আমন্ত্রণ ।
চমকে চমৎকারে চাহনির তৃষ্ণা মিটে যাওয়ার নিমন্ত্রণ ।
বুক ধরপর দর্পণের দৃশ্যে দিশেহারা বাসর সময় ক্ষন ।
থমকে থমকে থেমে যাওয়া কথার কথ্যগুলি এখনও সন্ধিক্ষণ।
ভাত পোড়ানো পান্তা পরম সুখের সৌভাগ্যের আদর ।
পিঠা পূলি পাঁচফোরনের পায়েশ শীত রাত্রির জড়িয়ে দেওয়া চাদর ।
নিমগাছের দাঁত মাজনে মুচকি হাসির মতলবে শত আবদার ।
লুকোচুরি লেখালেখি লোক কথার অন্তরায় অন্যথায় কথা বলার উপহার ।
আমার অলংকার আলোকিত আলোকোজ্জ্বল জোৎস্নার কলত্র ।
রূপেগুনে বহুরূপী রূপের মন্ত্র জালে এখনও আমি পরাস্ত ।
খেয়াল খুশির খোঁজে সে সাজেনি আমার অবর্তমানে ।
তাই ,এখনও এই রাস্তায় এই বাড়ির চার দেয়ালের মাঝে ,কবরের পাশে খুঁজি ক্ষণে ক্ষণে ।