কলঙ্কিত এ সমাজ ।ধর্ষিত এ বিবেক ।অপহরণ এ জাতি ।
লুটপাট ,চুরি ছিনতাই আর দালালের খ্যাতি ।
অসহায় অসুস্থতায় অনাধিকারে নিমজ্জিত এ মাটি ।
কারন অকারণ সময় অসময়ে থেমে গেছে জীবনের তরিৎ গতি ।
ভেজাল নকল মাদকাসক্তই প্রকৃত আসক্তি ।
ঘুমে ডুবে অলসতায় প্রতিটি সংগ্রামী জীবনের ঘাঁটি ।
দুর্বল রোগা অনাদৃষ্টিতে প্রতিটি মুহূর্ত অখাঁটি ।
যুদ্ধ বিদ্রোহ সংগ্রাম ।
তিনটি এখন বাংলার জন্য অভিশপ্ত সকাল ।
যুদ্ধ জেনেও সবাই ঘুমে নিমজ্জিত ।
সংগ্রাম জেনেও সবাই বাকরুদ্ধ ।
বিদ্রোহ জেনেও সবাই অন্ধ ।
৮ বছর।২৯২০ দিন ।
হয়ত হাজার হাজার দিনের চাইতে অতি সামান্য ।
হয়ত হাজার হাজার লজ্জিত সময়ের চাইতে অতি নগন্ন ।
হয়ত হাজার হাজার ধর্ষিত মুহূর্তের চাইতে জঘন্য ।
তবে ,ভেবো না এটা আমাদের অধিকার ।
এটা আমাদের অহংকার।
আসলে এটা আমাদের ধিক্কার ।এটা আমাদের লজ্জার ।
এটা আমাদের ধ্বংসের হাতিয়ার ।
বুঝতে পেরেছো ?আমি কি বর্ননা করতে চাইছি ।
বিডিআর বিদ্রোহ।
বাংলাদেশের আলোচিত ঘটনা ।সমালোচিতই পরিপূর্ণ ।
অখন্ডিত পরিহাসের অসমাপ্ত উপন্যাস ।
সাহসী বিবেকের শ্রেষ্ঠ সম্পদের অকাল মৃত্যু ।
এত গুলো প্রান অত গুলো দেশ অল্পতেই বিনষ্ট ।
জাতি বিবেক দেশ যেখানে রোগে আক্রান্ত ।
সরকার সমাজ যেখানে সব্যথায় ভারাক্রান্ত ।
অনেকেই বাবা ।
কেউবা ছেলে আর কেউবা ভাই।
যাদের বুকে হৃৎপিন্ডে শিরা- উপশিরায় এখনো দুঃখের দাগ লেগে আছে ।
কষ্টের প্রতিচ্ছবি ,চোখের নোনাজল ভেজানো বুকের গন্ধ এখনো নাকে আসে ।
বাবার মরদেহের রক্তের পঁচা গন্ধের ঘ্রান এখনো চারপাশে শরীরে লেগে আছে ।
ছেলের বুকের ছেঁড়া মাংসখানি এখনো যেন চোখের সামনে লাফাচ্ছে ।
ভাইয়ের হাতের কুনই আঙুলটা এখনো যেন বন্ধনের জন্য ডাকছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি ।এই দিনটি এলে ।
এখনো ভাবি খুঁজে পাব হয়তো বাবার দেহখানি ।
মিলবে হয়তো ছেলের অর্ধ দেহের অল্প খানিকটা ।
কেউ বলবে হয়তো এই যে তোমার ভাইয়ের লাশ মাথা বিহীন ।
দিন তো শেষ হয়ে রাত নেমে আসে ।
এখনো এই বিদ্রোহের কতা কানে বাজে ।
আমি তো চাইনি এমন হত্যাকাণ্ড ।
চাইনি কোন দিবস ।
চাইনি মায়ের আহাজারি ।ভাইয়ের আর্তনাদ ।
নববধূর পোড়া কপাল।ছেলের পিতৃহীন চোখের ভাষা ।
যা আমাকে কূলষিত করে ।মর্মাহত করে সারাক্ষণ ।
ক্ষত করে এ বেলা ও বেলা ।
আর যেন না আসে ।এ দেশে ।বাংলাদেশে।
বিদ্রোহ।
এমন রূপে এমন সজ্জিত লালে এমন মৃত্যুর বাহানায় ।
যেখানে শুধু জাতি হারে ।
দেশ পারে না মুখ দেখাতে এমনো চক্ষলজ্জায় ।