সেদিন সন্ধায়, ক্ষণকালের  জন্য বিদায়
মহুড়া দিচ্ছিল, মৃদু আলো  একটু একটু
করে নিভু   নিভু হচ্ছিল।   আমি বুঝিনি,
তোমার  হৃদয়ের   কম্পন  ধ্বনি  কি  তা
আমি    কখনো     জানি   নি।      কিংবা
জানার    চেষ্টা    করিনি;   তাই    হয়তো
অভিমানে     ভরা    তোমার   এই     মন।
তুমি  দাড়িয়ে ছিলে,  বাড়ির   আঙিনায়,
পাস   দিয়ে    হেটে  গিয়েছিলাম,   দেখে
না দেখার ছলনায়।   দেখেছি    তার পর
আমার  পিছু   পিছু   ফিরে    এসেছিলে,
জানি  না  তুমি   আমাকে    কি   কখনো
ভালো বেসেছিলে?  তাঁর  পর টিভি অন
করেছিলে; সেকি  ভয়ানক  রাগ,  রিমো-
র্টের বাটনের ওপর। ঝেড়েছিলে  সামান্য
অসহায়  ছোট্ট   ছেলেটির  ওপর।   তাই
আমি ঘুমের ভানে  জেগেছিলাম। ভাবছ
আমি কিছু জানি না!  সব কিছু শুনেছি-
লাম। তারপর তুমি ঘরটাতে আবার চলে
এসেছিলে,  কি  জানি  কি   কারণে  ঘুরে
ফিরে আবার চলে গিয়েছিলে।  বার-বার
এ রকম হলো, কিন্তু আমি বুঝতে  একটু
চেষ্টা করিনি, কিংবা  তোমার   মায়াবিনী
বদনখানির  দিকে একবারও  তাকাইনি।
তারপর   রেগে-মেগে   চলে    গিয়েছিলে,
সেদিন    আর   আসোনি।  কি   হয়েছিল
তোমার  সাথে? তুমি  কি কভু  বলেছিলে
আমাকে?  আমার   হৃদয়   কম্পন   সারা
দেয়নি,  তাই   আমি   বলব  না।   তোমার
হৃদয়   ধ্বনি   তোমাকেই  জাগাতে   হবে।
পরদিন   সকালে,   বিদায়ের   শেষ   লগ্নে,
ঘুমিয়ে   ছিলে   তুমি,   মুখ   থেকে  কম্বল
সরায়ে  দুই  মিনিটেই   জেগে   উঠেছিলে,
হাত-মুখ  ধুয়ে, ফ্রেস   হয়ে,  ঝাড়ু   হাতে।
তারপর   চলে   গিয়েছিলে,  আর  সামনে
আসোনি,   জানি   না   আর    দেখা   হবে
কিনা? কিন্তু হওয়ার   সম্ভবনা  আছে,  এ
খবর     তুমিই   জেনেছিলে,   কিন্তু   কেন
নীরবে অশ্রু ঝরাইছিলে? জানি না আমি!