বছরে একবার চৈত্র মাস,
অপেক্ষা আর থাকে উচ্ছাস।
হবে শিবের গাজন,
চলবে শীবগৌরীর নাচন।
চৈত্রের সারা মাস,
চলে গাজনের নাচ।
ফকিরের চড়ক বহন,
চলবে অ্যাক্রোব্যাটিক্সের প্রদর্শন।
লোহার শলাকা পায়ে,হাতে,গায়ে,পিঠে,জিহ্বাতে করান প্রবেশ,
নিয়ম শৃঙ্খলা না মানলে প্রবেশ নিষেধ।
জ্বলন্ত কয়লায় ওপর চলে  হাঁটা চলা,
সাথে আরো ছুরি,কাঁটার দাঁয়ের ফলা।
কুমির পুজা,শিবঠাকুরের বিয়ের পর আগুনের উপর নাচ,
আনন্দ উল্লাসে পরান শিবগৌরীর সাজ।
লোহার তিরে শরীর করে বাণবিদ্ধ,
মন্ত্রতন্ত্রে সন্নাশিরা যথেষ্ট সিদ্ধ।
কেহ বলেন হরগৌরীর তীব্র উপাসনা,
আবার কেহ পুরন করেন মনের বাসনা।
কেহ বলেন বসন্তের আগমন,
কেহ করে থাকেন ফসল কাটার ঋতু উদযাপন।
চৈত্র সংক্রান্তির দিন হয় পুজা চড়কের সৎসঙ্গ,
শিবঠাকুরের গাজন উৎসবের একটি অন্যতম অঙ্গ।
ঐ দিন বিভিন্ন স্থানে মেলা বসে,
কয়েক দিন ধরে চলে রঙ্গ রসে।
ব্রহ্মবৈবর্তপূরাণে আছে শিব ঠাকুরের আরাধনা,
নাচ-গানে চলে অসাধ্য সাধনা।  
দ্বারকাধীশ কৃষ্ণের সঙ্গে শিবের একনিষ্ঠ উপাসক,
বাণরাজার যুদ্ধের বাণরাজা ছিলেন শাষক।
সেই যুদ্ধে মহাদেবের থেকে করেন অমরত্ব লাভ,
বাণরাজা নিজের রক্ত দিয়ে মহাদেব তুষ্টে দেখান ভক্তিভাব।
রাজা সুন্দরানন্দ ঠাকুর প্রথম করেন পুজোর প্রচলন,
শৈব সম্প্রদায়ের মানুষ এই উৎসব করেন পালন।
চড়ক গাছে আছে দুইখানা দোলা,
চল মোরা যাই ঐতিহ্যবাহী চড়ক মেলা।