লাস্ট ব্রেঞ্চে বসা খৈনি ডলা মালটি
যে পড়া পারত না কোনদিনও,শুধু
লাস্ট ব্রেঞ্চে বসে করত পাকামি,
শুনত না ক্লাসের পড়াও,আজ সেও...
সেও বাস্তবতার লড়াইয়ে জয়ী,
প্রতিদিন কোট,বুট পরে মাঞ্জা মেড়ে
অফিস টাইমে বের হয় বুক ফুলিয়ে।
সে হাসে,আনন্দ পায় নিজের মনে
সেই ফাস্ট ব্রেঞ্চের ছেলেটিকে দেখে,
যে ছিল সকল শিক্ষকের প্রিয়পাত্র।
পড়াশোনা করত ভালো; কিন্তু হায়,
সে আজও বেকার,দাড়ি কাটার
দশটি টাকার জন্যও হাত পাততে হয়
বাবার কাছে; কষ্টে,হতাশায় কাটে দিন।
জীবনটা তার কাছে যেন এক অভিশাপ।
একই সময়ে লাস্ট ব্রেঞ্চের ঐ ছেলেটি
যায় খুশি মনে আনন্দে তার অফিসে,
আর,ফাস্ট ব্রেঞ্চের ছেলেটি যায় বাজারে।
হাসে আজও হাসে তার অবস্থা দেখে
ঐ লাস্ট ব্রেঞ্চের ছেলেটি,আর সাথে বিধাতাও।