একটা শাড়ি এলোমেলো হয়ে পরে আছে,
কয়েক ফোঁটা আস্ত আস্ত কান্না জলে, ধূলি কণা কাদা মাটি ।


অই কিছু লম্বা লম্বা কাল চুল,উরে পরল নদী বক্ষে।
কিছু যন্ত্রণা স্রোত বহিতেছে, ললনা হৃদয় কক্ষে।


কিছু লকলকে সবুজ ঘাস, আঁচরে পাঁচরে পড়ে আছে।
নিঃস্ব স্তব্ধ পৃথিবী, মাঝে মাঝে গুলা গুলি।


নদীর পাড়ে ধারালো পাতার কাশ ফুলদের বাড়ি,
তারি মধ্যে বসে আছে সদ্য ধর্ষিত,অর্ধ উলঙ্গ মেয়েটি।


ওরা ধর্ষণ করতে চেয়েছিল, বাংলার সব পাখিদের, ঘাসদের;
এঁকেবেঁকে বয়ে চলা নদীর, চিকচিকে স্বচ্ছ জলকে।


সন্ধ্যার সূর্যের লালচে আলোয়, শূন্যে কিছু মেঘ উরে গেল।
নদীতে কয়েক ফুটা বৃষ্টি কণা,জ্বলজ্বল করে উঠলো;
একটা অর্ধ উলঙ্গ লাশ ভেসে চলল নদী বক্ষে;
অর্ধ উলঙ্গ লাশ; একাত্তরের অর্ধ উলঙ্গ লাশ।