তুমিও তো মহাকাব্য বোনো কষ্টি ফলকে
কতশত খোদিত অধ্যায়
সেদিন দেখেছি শিয়রে প্রতাপ ছিল
বর্মের উজ্জল আভাস, হাঁটাপথে মৃদু অচঞ্চল
এত এত বর্ণ ভর করে, এতটা মগ্নতা আর
দুরন্ত কথায় কার পানে চাও সখা
কারে চাও অনঙ্গ রসদ সেবিতে - সে বুঝি আরাধ্যা
নিয়নের আলো যারে ছোঁয় সে তো কৃষ্ণকলি
তারে খোঁজ তুমি রাশ চুল পিঠে যার
জ্বলন্ত নাগিনী, পিঠ বেয়ে ছেয়েছে অতলে
এই বুঝি শেকড় ছড়াবে, রাশি রাশি শিরস্ত্রাণ মেয়ে !
তার ছায়া বুকে এসে পড়ে
ডাহুকের তপ্ত দুপুরে ?
উদাসীন পটে সেও বিভঙ্গ নর্তকী !


কারে চেয়ে এত কথা জমা কর পাষাণ ফলকে
যে কষ্টি ভাঙে রোজ
অহর্নিশ ধিকি জ্বলে খোদিত অক্ষর
পায়ে যার সূক্ষ্ম নোলক, অংশীভূত অতশীর
মাটি গন্ধ মাথায় জড়িয়ে
শুয়ে থাকে জলের উপর, হি হি হাসে জ্বলন্ত পেটে
বজ্রে যার দৃশ্য খেলা করে, সেই মেয়ে !


এতটা ধৈর্য্য সখা কার সেবা নিতে
নিত্য ঘাটে সেও তার কলস ডোবায়,পঙ্ক মেখে ফেরে
আঁতেল ঝুমুরে বেজে ওঠে সেও
ভেসে আসা কবে কোন গান
পাতা হয়ে কলস জড়ায়ে ,কোলে,কাঁখে দিব্য ছিল সুখে
কার যেন নিপাট অসুখ, চোখ বেয়ে
ছেয়েছিল চোখে,
সেই থেকে সেই থেকে চোখের অসুখ!


সেই মেয়ে সখা !
সেই মেয়ে, মহাকাব্য কষ্টি পাথরে ছেয়ে আছে
খাঁ খাঁ ওই বুকের ভিতর ?