মাঞ্চুরিয়ান


মাঞ্চুরিয়ান খাবো বলে ঘর থেকে পথে
প্রথম খিদেটা মোঁচড় দিয়ে উঠল-
কোথা থেকে ভেসে আসা কষা মাংসের স্তব
নাসারন্ধ্র দিয়ে কিছুটা বর্হিগমন
জাপটে ধরা যায় না হৃদপিন্ডের উত্থান তবু
মনে মনে সাবধান করলাম
শুনে কেউ জটলা করবে না , ভাগ বসাবে না প্রেমিক,
প্রেমের আজ উইকেন্ড
যদিও উৎসুক নই
গত দু'মাস সে কিভাবে আগলে  রেখেছিল যাবৎ সংসার
আমি জানতে চাইছি না ।
সহ্য হচ্ছে না গৃহের ফোঁকরে মুখ গুজে অমরাবতীর -
ষ্পৃহায় বারংবার বাঁচবার প্রচেষ্টা ; ভাসিয়ে দিতে চায়
জৈবীক চাল-চূলো ।
আমি তার দিকে গ্রোগ্রাসে চেয়ে থাকি
অন্তত তার বৈধুর্য্যমনি আবিষ্কারের আগে
যে রকম চাউনি ছিল কলিমুদ্দিনের................
জিভের আঁতরে লেপ্টে থাকা ক্যকটস
কিছুতেই সরানো যাচ্ছে না , ফেরানো যাচ্ছে না
দলে দলে,মিছিলে মিছিলে ধেঁয়ে আসছে মাঞ্চুরিয়ান খেতে
আমি মরবো' মরবো' বলে দু'হাত তুলে-
চুপিচুপি সেঁদিয়ে যাই
যন্ত্রণার দিকে । কোলে তুলবে বলে প্রাঙ্গন বেয়ে
নেমে আসে কয়েকটি শর্ত ;
অচেনার ভান করে পিছু হটা,
অচেনা শহর থেকে জন্মায় ডাল,পালা,হাত,দেহ
গোটা মানুষের শব্দকোষ থেকে হেঁটে যায়-
পেট,হাত,পা'র অযাচিত মুখ
থালগুলো ধারালো কার্নিশে রক্তারক্তি খেলা।
জবাবদিহি চায় মাথাওলা চুল
কাঠগড়া থেমে যায় নীতির বায়নায়
রানীর আদেশে ; মন্বন্তর কাটিয়ে অতঃপর
আছড়ে পরবে ঢেউ ফিরিয়ে দেবার ;
মাঞ্চুরিয়ান খাবো ,জামাটা ,জুতোটা
নৈতিক দায়বোধ টলছে টলুক -
মুখটাকে টেনে নিয়ে ঘাঁড়েতে বসাই
কাঁধে হাত,পা...............
মুখ টিপে হাসে বুক,পেট ।
চিঁতিয়ে রেখেছি ভাদ্দরের কথাদের
আস্ত রোদ্দুর হবে বলে
সেঁকে নেব ভরাডুবি খড় কুটো ,পরমাদ
চোখ সেঁটে সোয়াদের পরম ককটেল্ ।
তার কথা অবান্তর
স্থির চোখে মায়াবী কুপন
সেঁটে যাবো অন্তরঙ্গ ঢাই ডিশে-
আপাতত মাঞ্চুরিয়ান ।


............................................................