ছন্নতা নতুনের বেশে ছেয়ে গেছে তাপ্পি কবাট
বৈশাখ আড়ম্বর ছলে
ঝুল , ছাঁত , ঘুলঘুলি , ঘুঁন্ বিভ্রাট ।


তেল , কালি , যেন - তেন , মরিচা'র গ্রীল
হাতের তালুর চোটে
বেজায় কাহিল ।


চৈত্রে প্রাদুর্ভাব রঙ্গ পকেটে
ইটে আর পাটকেলে
শুধু ঠেঁকা দিতে ।
রঙ্গের পাঞ্জাবী  , পাজামার জুড়ি
মা দিলেন সাদামাঠা
দৈন্য সরাসরি ।
সাধ ছিল কাশ্মিরী , বালুচরী সাজ
পটে বসে হাসি তার
নীলাম্বরী কাজ ।


সাধে সাজ কারুকাজ পার্লার বাহারে
মাজা , ঘষা , পালিশের
খোলতায় আহারে ।


তকতক্ পালিশের ঝকঝক্ নোট
খাবি খায় পকেটের
তাপ্পির জোট ।


খানদানী , রোসনায় , ছলনার খেলাতে
একা তাই অযথায়
নিদাঘের বেলাতে ।


ছুঁয়ে ছেনে মেপে ঢেকে ম্রিয়ম্লান হেসে
আড়লে চম্পট দি'
প্রতারক বেশে ।


হেলা গেল ফিরে বেলা অযথা বৈশাখ
ঘঁট সেজে ফুল, মালা
সয়েছি সন্তাপ ।


ঘরগুলো প্রাদুর্ভাব আকাল, শমন
বধে , বোধে , রোষে , বশে
খেলায় অকারণ ।

বৈশাখে আহ্লাদ ভাদুরের মেলা'রে
আলো হাসি বৌ বর
খাবি খাই বাহ্ রে ।


প্রাণ , মনে , ধন , জনে, রঙ্গের বিষাদে
(শেষে) প্যাঁচ খেলে হাঁড়িকাঠে
দেবতার প্রসাদে ।


------------------------------------------------