সাত রাস্তার মোড়, কাঁটা কম্পাসের মতো দাঁড়িয়ে
ছয় দিকে ষড়রিপু।
সপ্তমের খোঁজে পঞ্চেন্দ্রিয়, দু-রাস্তার হাহাকার আর
ষষ্ঠেন্দ্রিয় বলে আমি না হয় তোমারই।
খেলা দেখছি কার;
জাদুকর নাকি ঈশ্বর?
দু-হাতের মুঠোয় কত বালু মেখে মেখে সময়ের
নিষ্ঠুর ছুটে চলায় পশ্চাদ্ধাবন করেছি!
জাদুখেলা দেখি সাত দিকে অসহায় এক রাস্তা নিয়ে,
রাঙা পায় চলে চলে অদৃশ্য হয় অদৃষ্ট,
পড়ে থাকে অপেক্ষায় বড়শির ধরা পড়া
ছটফট করতে থাকা মাছ হয়ে।
কবির লেখার উপমায় আসা যাওয়ার মধ্যেই বাঁচি,
চাওয়া-পাওয়ার গড় হিসেবি খাতাটা
জড়িয়ে কাঁদি আর কতকাল;
সাত রাস্তায় নির্বাসিত জীবনে মৃত্যুর খড়গ নামুক
সার্কাসের বর্শা নিক্ষেপ খেলায়।
স্বতঃস্ফূর্ত খেলা নাকি দূর নিয়ন্ত্রিত?
ষড়রিপু, পঞ্চেন্দ্রিয়, পঞ্চরস
জলে মিশে যাক অন্য কারও জন্যে,
ও নদীকে আমি পরের বেলায় শুষে নেব।