(কবিতাটি কবি পরিতোষ ভৌমিক(অমায়িক কবি) কে উত্সর্গ করলাম।)


প্রত্যেক সকালে ঘুম থেকে বেঁচে উঠি
শক্ত বিছানা, নড়বড়ে চৌকি, বই বেশ
কিছু, ছারপোকা তো ছাড়েনা।
বাবা বলে ঔষধের  আরেক নাম নারায়ণ।
দেখা-অদেখা স্বপ্ন, চোখের সামনে কারও
কারও মৃত্যু, বুদ্ধির মাথা খাওয়া পাগলের স্লোগান,
কখনও নৃত্যরত
লুঙ্গি মাথায় বেঁধে, বিবস্ত্র; কত ভাষণ ,কত কথার কথা,
কত ভালোবাসা।
এ সব কী পাব কাল?
কখনও ল্যাম্পপোস্টের গা ঘেঁষে দাঁড়ানো
পতিতার কন্ঠে শুনেছি, 'লাগলে আওয়াজ দেন'। মাস্তান, গুন্ডা, ফটকাবাজের বুলি,
জন সমুদ্রের কোলাহল, ক্লান্তি, অলি-গলি,
রাস্তা; জীবনের চূড়ায় পা রাখবো বলে
ঘুম আসে না!
আমার চিন্তা বিনা পয়সায় বিক্রি করি
সারারাত ক্রেতাহীন; দিনেও।
সময় কেনে টেবিল ঘড়ি,
জ্যামিতি বাক্সে বৃত্তাকারে বন্দি মৃত্যু,
অন্তর্জালে আর খাতায় কিছু লেখা,
কত জারজ জন্ম বেনামী টোকাই,
কত মৃত্যু চোখের সামনে, ঘটা করে
আসা ক'টা নারীর সুঢৌল আর চুপসে
যাওয়া বুক।
এ সব কি পাব কাল?
পাসওয়ার্ড লিখতে চাই আকাশ খাতায়
নক্ষত্র খচিত,
প্রকারন্তরে অন্তরে প্রশ্ন জাগে আমি প্রাকৃতিক
নাকি প্রকৃতি আমার, আমি মরি, নাকি
আমাকে মারে মৃত্যু, ভাবি নাকি ভাবায়।
বুকের বা-পাশে হাত রেখে, প্রশ্ন করি
মৃত্যু তুমি কবে আসবে?
তাহলে এ-ক'টা দিন সুখে বেঁচে উঠি ঘুম
থেকে অথবা সুখে ঘুমাই।
উল্লাসে মেতে ওঠে আমার কৃপণ আত্মা
প্রত্যেক সকালে, বেঁচে আছে বলে।