নগরের নজর থেকে সুদূরে যেখানে দিগন্তরেখা শেষ বিন্দুতে ঠেকেছে এঁকেছে ভাবনার সীমান্ত, চলেছি তার কাছে।
নির্মল নীলাভ বিলাপ করছে আমাদের জন্য কতদিন, এখানে আসি না,বসি না,ঘামের গন্ধ শুকাই না ওর সুগন্ধী হাওয়ায়।


কেন আসি না?
আসলে আরও দূরে সরে যাও দিগন্তে আঁকো সমান্তরাল রেখা, ওদের তো আড়ি ওরা মিলবে না কোনদিন।


দ্যাখ,
আমাদের কত মিল, সমস্ফুটন মিশ্রণ, ভৌত অন্তর দুটির কী এক রাসায়নিক পরিবর্তন।
কোনো ভাবেই যাবেই না বিচ্ছিন্ন করা কোনো বিক্রিয়ায়।
বৈজ্ঞানিকের বিজ্ঞান এখানেই জ্ঞানশূন্য হয়ে, অচৈতন্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে।


শোন,
আমি যদি নীল দিগন্ত না হতাম,
আড়ি না থাকতো সীমানার, তোমরা মিলনের মানেই বুঝতে না ।
আমিই তো প্রণয়ের মানদন্ড।


ঠিক আছে,
আমরা প্রতিনিয়ত আসব আর ক্লান্তি-ক্লেশ দূর করে বেশ ফুরফুরে মেজাজে তোমার কাছে ফুসফুস ভর্তি সুগন্ধী বাতাস নিয়ে যাব।
দেবে তো?


যুগলদের জন্যই আমার এ উন্মুক্ত অক্সিজেন প্রান্তর; তোমাদের  সব চেনা-অচেনা, দাম দিয়ে কেনা দুঃখ-বেদনা, অপমান-অভিমান আমার জলে ভাসিয়ে যেও।
ওপারে মহাকালে সব আমি ফেলে দিয়ে আসব।
তোমার বন্ধুদের এ পথ চিনিয়ে দিও চিনির মতো মিষ্ট রসায়নের খোঁজ দিও।