কবিতার কপালে আজ আর চন্দন জোটেনা
এই অকালে কবির কপাল পুড়েছে কিনা
ভাড়ার শূন্য; কেবলই মঙ্গার দশা তার
পাকস্থলী জ্বলে বিসুভিয়াস দহনে
কবির মানসে ও মননে
আজ যেন কিসের এক দায়ভার
বৈশাখি ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসে এক বজ্রবীণা
কবিতার তনুতে তাই আজ আর সাধের নীলম্বরী ওঠেনা
 
কবির জীবন হারিয়েছে আজ ছন্দ ও লিরিক
ভুলেছে বেমালুম কাব্যময়তার ঘ্রাণ
জীবন ও যাপন তার বে-রঙ বে-রসিক
বড়বেশি উল্টোপথে আজ উগ্র-মূর্তিমান
কেবলই দুঃখভোলা মদ আর ভাবনাভোলা
সিগারেটের দহনে ভস্মে কালিমায় 
বীভৎস জীবনের পদাবলী, শাশ্বত জীবন-কলা
বড়বেশি এলোমেলো আজ, হায়
কবির সাধের কবিতা-কবিতা ঘর-গেরাস্থলী
কবিতার পায়ে তাই আজ আর সাধের আলতা ফোঁটেনা
 
বুলেট-বিদ্ধ স্বজনের রক্তে কবিতা আজ
রাঙিয়েছে দুপা বড়বেশি গভীর রেখায়
কবিতা আজ যুদ্ধাংদেহি এক শ্লোগানবাজ
অতিবিপ্লবী মননে ও উচ্চারণে সবটুকু সাধে ও সত্ত্বায় 
যেন মাতঙ্গিনী হাজেরা এক মস্ত
কবিতা আজ তাই বৈকালিক চন্দ্রিমা-উদ্যান ছেড়ে
মানিক মিয়ায় দৃপ্ত উর্ধ-হস্ত
বজ্র-ধ্বনী তোলে বিকেলের মায়াবী আকাশ ফেড়ে 
কেননা, ছন্নছাড়ার ঘরে যে আজ কবির বসত, কবির ক্ষেত-খামালী
তাইতো আর কবিতার অধরে গোলাপি হাসির বন্যা ছোটে না