অনেক কাল ধরে ফিরতে চেয়েছি তোমার কাছে;
ফিরতে চেয়েছি সকল যতি চিহ্নের বাধা পেরিয়ে,
ফিরতে চেয়েছি সকালের মেঠোফুল আলোর গন্ধে,
বকের পাখায় সোনালী সন্ধ্যা আলোর রঙ মেখে!
বহুবার ফিরতে চেয়েছি সবুজ যুবতী ধানের ক্ষেতে,                      ভরা শ্রাবণের বৃষ্টি মেঘ হয়ে তোমার কপোল চুমে-
শেষ খেয়া তরী বেয়ে শাপলা শালুক সুবাসে।  
হয়তো তুমি আছ অনেক আলোকবর্ষ দূরে!
দিগন্ত ছায়া পথ পেরিয়ে অগম্য কোন জীবিত গ্রহে!
তবুও আমি যেতে চাই তোমার না ফেরার দেশে;
অগস্ত্য যাত্রা পথের ধুলি মেখে মেখে অনেক জন্ম ধরে।
তুমি হয়তোবা ভুলে গেছ, চিনবে না হয়তো আমায়;
তবু ফিরতে চাই,
ফিরতে চাই রাতের আকাশ ছুঁয়ে নীরব তারার মত;
রুপালী চাঁদের আলো মাখা পৃথিবীর মত;
ধানের শিষে দোল খাওয়া শিশির বিন্দুর মত;
নগ্ন দুপুরের দিঘী জল ছোঁয়া বটের ছায়ার মত,
যেমন করেই হোক ফিরতে চাই-
ফিরতে চাই তোমার কাছে একটি বারের মত,
যদি কোনভাবে ঠিক পৌঁছতে পারি তোমার উঠোনে;
কোনদিন যদি অনুভবে পাও কোন সাবেকি নিঃশ্বাস বাতাস-
সেদিন অন্তত আমার ক্লান্ত কঙ্কালের ঝুলি খুলে দেখো,
মৃত জোনাকির শরীরে তখনো পাবে-
তোমায় খুঁজে ফেরা আমার চোখের তারায় জেগে থাকা-
মৃত নক্ষত্র হতে উৎসারিত অন্তিম আলোক পিণ্ড।
সেদিন দিও না ফিরিয়ে আমায়,
আমি অনেক পথ পেরিয়ে ওই আলোটুকু এনেছি তোমার জন্য,
শুধু তোমায় দিতে চেয়ে।