মস্ত পৃথিবীর এ গলিতে,
সন্ধ্যা নেমে আসে তাড়াতাড়ি-
চটপট রঙ মেখে নিতে হয়,
রঙ মেখে নিতে হয় বেরঙ শরীরে;
দাঁড়িয়ে পড়ি গোধূলি আলোয়;  
মেঘলা আকাশের মতো লুকিয়ে ফেলি
আমার এক আকাশ স্বপ্ন নীল অন্য মুখ!
ধূসর আলো ধীরে ধীরে লীন,
কৃষ্ণ হহ্বরের গর্ভে তখন শুধু একা—
সম্ভ্রান্ত উৎপাত মূর্তিমান হয়ে ওঠে দ্বারে;
সন্ধ্যার সব কৃত্রিম রঙ চেটেপুটে নিয়ে যায়;
শরীরের অসংখ্য থাবায়-
অনেক আদরে নিজেই বুলিয়ে নিই হাত;  
গান্ধীজীর ছবি আঁকা কাগজ ছড়ানো ঘরময়;
কুড়িয়ে জড়ো করে ফেলি তাড়াতাড়ি;  
সকালের স্নানে ধুয়ে ফেলি পুরনো শরীর;
নতুন রঙে আবারো সাজাই;
সাজিয়ে নিই সন্ধ্যাগলির নতুন শরীর,
দেওয়ালে ঝোলানো ঠাকুরের দিকে চাই;
প্রণাম করি—
প্রতিদিন—
জানি না ঠিক কিসের জন্য!