ঘুড়িগুলো ঢাল খেয়ে খেয়ে নামছে,
শুধু চিৎকার চারদিকে ভোকাট্টা-ভোকাট্টা,
ঝাউয়ের পাতায় তখন নরম হিমেল বাতাস;
আমারও শরীর ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভাসছে!
সন্ধ্যা নেমেছে শাখাপ্রশাখায় পাখির ডানায়-
তুমি হঠাৎ চমকে দিতে চেয়ে বললে ভোকাট্টা;
আর অমনি আমার তুলি থেকে ছিটকে গেল রঙ;
তারপর তুমি অভিমানে বলেছিলে, “স্বার্থপর
আমার ঘুড়িটাকেই কেটে দিলে তুমি”?
-সে ছবি এখনো রেখেছি আমার ঘরে!
তোমার অভিমানের উত্তর,
হয়তো দেওয়া হবেনা কোনোদিন;
হয়তো জানার প্রয়োজন নেই তোমারও;
তবে নিজেকেই নিজে ভোকাট্টা করতে-
তোমার জুড়ি মেলা বড় ভার,
শুধু সেই সন্ধ্যার ছবিতেই নয়,  
জীবন ছবিতেও তুমি তা দেখিয়েছ বার বার।