পাহাড় গায়ে হেলান দিয়ে—
উষ্ণতা খুঁজে গেছি বার বার;
সমুদ্রের বুক জুড়ে ছুটেছি উদ্ভ্রান্ত;
বালির স্তূপে মুখ গুঁজে খুঁজেছি নিঃশ্বাস;
আদুরে ফুলের বাগান করেছি সিঞ্চণ—
ভিজিয়ে দিয়েছি রক্তস্রোতের ধারায়;
তবু ঠিকানাহীন,আশ্রয়হীন থেকে যায় এ শরীর;
শুধু ধেয়ে যায় মৃত্যুর দিকে—
মৃত্যুর ওই পারে স্থির চোখ চেয়ে;    
জীবিত ছায়ার মতো যেন মিশে কুয়াশায়,
যেন হেঁটে যায় দিগন্ত বিস্তৃত মরুবুকে।  
অধিকার রাখিনি কোথাও;
কোথাও নেই কোনো দাবী আদায়ের কৌশল;
শুধু অচেনা পথের ঘ্রাণ মেখে;
মায়াবী মরীচিকায় নিরন্তর;
করে গেছি কাল্পনিক অবগাহন।
এরপর নিশ্চিত একদিন বহুদুরে-
নীলশূন্যের গভীরে হবো লীন;  
মৃত শরীর জুড়ে সেদিন—
কত অপরিচিত অনাকাঙ্ক্ষিত আলিঙ্গন;
চিতাগ্নি ধোঁয়ার পথ ধরে হয়তোবা যাবে ভেসে;
কত পরিচয় হীন ফুলের সুবাস!  
শেষ খেয়া পেরিয়ে গেছি তখন—
স্বাদহীন, বর্ণহীন, গন্ধহীন মৃত্যুর ওই পারে;
নতুন জন্মের আঁতুড় ঘরে,
শুধু অচেনা পথের ঘ্রাণ মেখে।