জিভ হীন পিঁপড়ের মতো লালায়িত তুমি;  
শুধু দৃশ্যমান শব্দের গা চেটে খাও,তবু—
বিপদ বুঝলেই বড় নিরীহ লাগে তোমায়;
ছদ্মবেশী শরণার্থী হতে করো না দ্বিধা!
কোনো কিছুতেই ভাবানুবর্তী নও তুমি;
শুধু তোলো হুঙ্কারে অকারণ জীবনের দোহাই;
একটুকরো মাথা আর অর্থহীন উদর ছাড়া—
আর কিছু নেই তোমার কঙ্কাল শরীর জুড়ে;
পৃথিবীর দিকে চেয়ে দেখো তুমি আঘাত হানো যেথায়;
তা শুধু মৃত্যু ঘটায় স্থুল,নিতান্তই জড় কোনোকিছুর,    
ওখানে মৃত্যু এমনি বাঁধে বাসা লুকিয়ে কোথাও!
তুমি শুধু রয়ে গেছ তোমাতেই,আমি ও আমাদের মাঝে;
ঠাঁই তুমি পাওনি কোনকালে,পাবে নাও কোনোদিন;
আমরা যে বেঁচে থাকি শরীর ছাড়িয়ে দূরে—
তোমার দৃশ্য হতে যোজনদূরবর্তী অগম্য চেতনায়;
তুমি রক্ত রঙে হোলি খেলে যেতে চাও বার বার;
আর সে রঙের প্রতি বিন্দু হতে জন্মে চলি অসংখ্য ভাবে;
তোমার নাগাল হতে দূরে- যুগ হতে যুগান্তরে।।