নদী তুমি-
খুঁজেছ সেই সঙ্গমস্থল যৌবন প্রবাহে;
ক্লান্ত শরীর তবু ক্লান্তিহীন,
গেছ ধেয়ে দূরে এঁকে বেঁকে;
ক্রমশ ক্ষীণ কোথাও তারপর,
কোথাও আবার-
মৃত্যুর মতো মজে যাওয়া।
আস্ত আকাশ-
ছুঁয়ে আছে যেথায় মাটির বুক;
কৃত্রিম সে মিলন;
মোহময় স্পষ্ট আলিঙ্গনে;    
তারই খোঁজে বয়ে গেছ,
আমার আকাশ শরীর ছুঁয়ে;
হয়তো কারোর মাটি শরীর।
নদী—
তুমি চেন না মাটির নিঃশ্বাস!  
তুমি চেন না আকাশের চোখ!  
তবু জমিয়েছ পাড়ি তাদের খুঁজে;
বড় অবুঝ মতো।
নদী—
তুমি থামো এবার;
ভ্রমোন্মাদের মতো-
যেওনা দিগন্ত সঙ্গমে;
ওই ক্যানভাসে ছবি নেই কোনো;
শুধু দাঁড়িয়ে রয়েছে,
চুক্তিবদ্ধ যৌথ অভিমান;
চিরকালের মতো ছোঁয়াহীন মূর্ততায়।