ঈশ্বর,তুমি হাত ধরে নিয়ে গেছ মর্গের ঘরে-
সেখানে শবের মিছিল শুয়ে ছন্নছাড়া প্রতিবাদহীন;
তা থেকে এক দিয়েছ উপহার বড় করুণা ঢঙ্গে;
তাই নিয়ে ঘুরছি দিক্বিদিক যেন স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল!
তার শরীর জুড়ে এখনো যেন জীবিত কিছু এক-
জীবিত শুধু যেন জমাট কালশিটে রক্তপিণ্ড মেঘ;
কোনো খুশিতেই সে নয় খুশি,নেই কোন সুখ তার;
হয়তো সে বন্ধক রেখে সব সুখ,শুয়েছিল মর্গ কুটিরে।  
শুধু ক্লান্ত চোখ যখন ভাসে জলে,আবছা যখন দৃষ্টি;
বৃষ্টির মতো তার শরীর হতে ঝরে রক্ত গতির নদী-
তুমি এমনতর ভাবে জীবিত এ শব কেন দিলে তুলে!
কেন দিলে আশ্রয়হীন ঘরের দুয়ার খোলার ভুল চাবি?
কতদিন আর দাঁড়িয়ে থাকি তোমার স্বর্গের দ্বারে;
কতদিন আর ঘুরে ঘুরে বাঁচি মর্ত্য পাতাল পথে;
তুমি নাও ফিরিয়ে তোমার অর্ধমৃত শব শরীর,
আর কখনো তুমি যেও না নিয়ে দুর্গম মর্গপ্রাসাদে,
এবার অবয়বহীন করে দাও শেষবার,অন্তত একবার-
ফিরে যাই বাতাস শরীর হয়ে ইচ্ছে আকাশ ঘরে।