পাথরকুচির পাতার কিনারে,
যেন দাঁড়িয়ে রয়েছে কারা,
দাঁড়িয়ে রয়েছে নিরুত্তাপে-
আগামী পৃথিবীর উত্তরসূরি হয়ে!
চলো ওদের জন্মের আগে—
বলে আসি আমাদের সব কথা;
ওদের জন্মের আগে—
দেখে আসি শীতের হলুদ পাতা;
রাত ঘুমের ভাঙ্গাচোরা স্বপ্ন যত,
ছড়িয়ে আসি দিক্বিদিকে-
তারপর গড়ে উঠুক—ইচ্ছে শরীর,  
উন্মত্ত ঢেউয়ের সাদা ফেনায়;
নগ্ন নাভির নীল জলাশয়ে।
চলো পেরিয়ে যাই শিকড় কাণ্ড বেয়ে,
ঝরা পাতার শাখায়,  
আকাশের চোখে চোখ রেখে,
তৃষা মিটিয়ে ফেলা যাক,
স্বাতী নক্ষত্রের বিন্দু জলে।
আর লুকিয়ে রেখো না নিঃশ্বাস—
গোপন অশ্রুর জমাট দ্বৈপায়নে;
বিবর্ণ বসন্তের ছাই শরীর হয়ে,
আর নয় ঘুমিয়ে থাকা;
আদিম রাতের কালো ঘটে;
চলো ফসিল হয়ে জেগে উঠি,
ভেজা মেঘ শরীর হয়ে ঝরে পড়ি,
পেরিয়ে আকাশপথ পৃথিবীর গায়।  
চেয়ে দেখি চলো,
দৃষ্টি তারায় জ্বালিয়ে আগুণ আলো;
মৃত চোখের পলকহীন পাতায়—
শুনিয়ে আসি হৃৎপিণ্ডের;
যাত্রাপথের ইতিকথা,
তখন না হয় বৃষ্টি নামুক,
বাতাসের বুকে;
তারপর নতুন পাতার ঘরে,
জন্ম নিক সবুজ ভবিষ্যৎ;
অতীতের শরীর ছিঁড়ে।