বহু বিভক্ত হাড়হাবাতে স্বপ্ন গড়ছে আন্দোলন—
আস্ত একটি শরীর যেন অসংবদ্ধ সংযাত্রিকদল,
পাঁচফোড়নের মতো বড় কিলবিল,বড় অস্থায়ী।
তবু নির্মাণ হয় গণ্ডশৈল তরল লাভার স্রোতে,
তারপর নির্গত আগুন আকাঙ্ক্ষায়, দিক্বিদিক!
কেউ হয়তো তার করেনি অন্বেষণ কোনদিন,
তবু সে বাঁচে গহীন অমানিশায় পরিচয়হীন—
এরপর নিজেরই জন্ম দেয় নিজেরই শরীর হতে!  
অন্তরালে শিখে নেয় সব,স্থির একলব্য চিত্তে,
কোন একদিন পৌঁছয় উঁচু থেকে আরও উঁচুতে—
শীতল সাদা বরফ আস্তরণে গড়ে আপন সাম্রাজ্য,
ছুঁয়ে নেয় স্বপ্ন ঠিকানা ঝিনুক গর্ভে মুক্তোর মতো!
তারপর আর নেই কোন ভয়,রক্তশূন্য শরীরের—
কানায় কানায় ভরা হাজারো স্বপ্ন জড়ো ঝুলির ভিতর,
আর নয় ছড়ানো পাথর নুড়ি গড়ান কোন স্রোতে,
আর নয় কোন মিছিলের ক্ষুধাতুর মুষ্টিবদ্ধ হাত,
আর নয় কোনকিছু খোঁজা—এ সাম্রাজ্যের আমি স্বৈরশাসক!
খুশিতে গড়ি স্বপ্ন খুশিতে ভাঙ্গি তা নিজের মতো,
থামাতে পারি হাড়হাবাতে স্বপ্ন আন্দোলন আপন খুশিতে—
গুরুহীন এদেশের কাছে,দক্ষিণা পাই নিজের কাছে নিজে!
নিজেরই ঝুলিতে জমা স্বপ্নের কোন এক ইচ্ছে হতে!
ঈর্ষা যেখানে জমে জমুক পরোয়া করিনা কোন—
পরোয়া নেই কোন তাতে।