একদল স্বপ্ন এসে বলেছিল, চলো—
তোমায় নিয়ে যাই ঘুমের দেশে,
সেখানে আমরা ফ্রি অফ কষ্ট কতকিছু দেখাবো।
আর একদল বলল ফ্রি অফ কষ্ট?
সে আর নতুন কি! আমাদের সাথে থাকো,
এসবের জন্যে ঘুমোতেও হবে না!
আমরা ওসব টুয়েন্টি ফোর ইন্টু সেভেন দেখাই,
চিন্তা কর না, খরচ একদম নেই—
মানে ওদের ভাষায় যাকে বলে ফ্রি অফ কষ্ট!
আমি বললাম কিছু সময় দাও একটু ভেবে দেখি,
বুঝতে চাইলাম নিজের কাছে—
স্বপ্নের বাজার বেশ জোরালো ভাবে দখল নিয়েছে এরা!
তবে কম্পিটিসানের বাজারে টিকে থাকতে চায় সবাই,
তাই এরা সব নানা পেটেন্ট নিয়ে ভাগ হয়ে গেছে,
আর ওই একটি কিনলে দুটো ফ্রির মতো—
মানে যত বেশি স্বপ্ন গছানো যায়!  
তার মাঝে অফার দেওয়ার এক্তিয়ার নিয়ে—
দুদলের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু!
সেসব দেখতে দেখতে ক্লান্ত চোখের পাতা—
কখন নিয়েছে আশ্রয় ঘুমের শান্ত কোলে,
তখন একটি ছোট্ট স্বপ্ন এসে বলল,
যাক! তুমি ঠিক করেছ এখানে এসে;
আমাদের দেশে কতকিছু দেখাবো তোমায়,
তারপর তুমি চাইলে কেনাকাটা করতে পার;
কেনাকাটা শুনে দুচোখের পাতা গেল খুলে,
একটু অবাক হলাম, স্বপ্ন—তাও কিনতে হবে!
দ্বিতীয় দল হেসে হেসে বলল কি?
বলেছিলাম না আমাদের সঙ্গে থাকতে—
এখানে চোখ খোলা রেখে যত খুশি স্বপ্ন দেখ—
আমাদের এখানে সবকিছু ওপেন,
মানে যাকে বলে হাতে গরম।শুধু—
আমার তখন ট্রেনের সেই হকারের কথা মনে হল,
চিরুনি আর সেপ্টিপিন বিক্রির সময় সেও বলেছিল—
দেখাশোনা ফ্রি, কেনাকাটা আপনার ইচ্ছে!
কেমন যেন দম বন্ধ লাগছিল—
দোতলার দখিনের বারান্দায় গিয়ে একটু দাঁড়ালাম,
নীচে তাকিয়ে দেখি ভোটে দাঁড়ানো এক প্রার্থী,
ফ্রি অফ কষ্ট বেশ কিছু স্বপ্নের লিস্ট বিলি করছে,
মনে মনে ভাবলাম, তুমি যাই বল বাপু,
এখন স্বপ্ন বেসাতি হয়, আর ফ্রি অফ কষ্ট নয়!
সে তুমি ঘুমিয়ে থাক কিংবা জেগে—
মলে যাও কিংবা অনলাইন—
পয়সা ফেল তামাশা দেখ— থুড়ি স্বপ্ন দেখ।