জীবন্ত একটা পাহাড় ভেঙ্গেছি শুধু তোমার জন্য,
আর তুচ্ছাতিত ভাবে ভাসিয়ে দিয়েছি খণ্ডে খণ্ডে,
নিশ্চিহ্ন শরীরের আর কোনো ধুলোবালি নেই,
তাই ওই নদীর জলে কখনো পড়বে না কোন ছায়া।  
আর গড়াবে না কোনো কপোলস্রোত,রন্ধ্র উত্স হতে,
এবার মুক্তিস্নান করো স্থির নদীর নীলস্রোতে,
হেঁটে যাও উন্মুক্ত প্রান্তরে কিংবা দিগন্তের ওই পারে,
তারপর বহু বিভক্ত শরীর অন্তসলিলে ঠিক হবে জড়ো,
কোনো ঝিনুকের খোলের ভিতর,কোনো হিমযুগের জলাধারে,
জমিয়ে তুলবো তখন শীতল শিখা,যজ্ঞকুণ্ডের আহুতির মাঝে,
শুধু তুমি লুকিয়ে রেখো না কোন প্রস্তরখণ্ড,নিতান্ত বিলাসিতায়,
তাহলে যে পুড়ে হলুদ হবে অসহায় মৃত শবের মতো।  
তুমি তো আবার আগুন নেভাতেই ভালোবাস,
আমার যে আবার আমৃত্যু আগুন জ্বালানো ইচ্ছে,
উষ্ণ বাষ্পের সাথে বাঁচি জোত্স্নার মতো পৃথিবীর শেষেও, ,
যদি তুমি লুকিয়ে রাখ আমার অস্থি খণ্ড!কোনো রক্ত বিন্দু!
তবে যে তোমাতেই বাঁধা পড়ে যাব,বন্ধকী দ্রব্যের মতো,
সে তো মৃত্যুর আগের স্থবিরতা, তার চেয়ে মৃত্যু দাও,
পুরোপুরি মৃত্যু! আমি তোমার কথা রেখেছি কিন্তু!
তোমার চোখ আর ঝাপসা থাকার কথা নয়,
সকল ধুলোবালি সরিয়েছি তোমার ইচ্ছেয়,
নিশ্চিহ্ন করেছি আস্ত একটা শরীর, একটা পাহাড়—
বাঁধিনি কোথাও কাউকে কখনো, তবু মুক্ত করেছি,
মুক্ত করেছি তোমায়!তবে কেন এত দ্বিধা!এত চঞ্চলতা!
আর কোনো মায়া প্রপঞ্চ কোরো না বিস্তার,
ফিরে যাও অগস্ত্যের মতো, ভেসে যেতে দাও আমাকেও,
থাকতে দাও আমায় আগুন জ্বালানো ইচ্ছের হাত ধরে,
আর তুমিও বাঁচ তোমার আলোহীন, অগুন নেভানো দেশে।