খেজুরের শরীরের মতো ক্ষত বিক্ষত প্রতিদিন—
মাথার খুলিতে জমা সব রস—কিংবা রক্ত পোড়ানো বাষ্প,
হাসিমুখে চেটেপুটে খেয়ে যায় ধূসর শেষরাত দ্বিধাহীন।
তবু অহরহ সেই অসহ সর্বনাশের আগুন চোখে,সন্ধ্যা নামে—
নামে রাতও—
খেজুরের, কিংবা তারই মতো কোনও শরীরের,
শিকড়ের অলি গলি বেয়ে শিরা উপশিরা ছিঁড়ে ছিঁড়ে—
নিরন্তর, মাথা তোলার চেষ্টায়—
মুড়িয়ে যায় শেষে যেন সেই নটে গাছ রাতের শেষে!
তবু নির্দয় শূন্য কলসী ভিজিয়ে নেয় ঠোঁট,পূর্ণ করে দীর্ঘ উদর ভরপুর,
চিরকালের,অন্তরাল হতে সুযোগ খোঁজা নেকড়ের মতো,
সুযোগভোগী সেই অসংগ্রামীর মতো —
আর দ্বীপান্তরিত সন্ন্যাসী সৈনিকের নীল নক্ষত্র চোখে কল্প ছবি আঁকে,
অদৃশ্য জীবন্ত অতৃপ্ত আত্মা।
অক্টোপাশের নির্মম কঠিন থলথলে শরীর দিয়ে—
ঘিরে ধরে কেউ যেন তাকে!
অবিশ্রান্ত চলে যুদ্ধ, চলে সংগ্রাম জন্ম হতে জন্মান্তরে।
অবশেষে শেষ হয় অনন্ত নিস্তরঙ্গ জীবন—
এরপর—মৃত শরীরে অসহ্য চুম্বন আঁকে পরিচয়হীন কত ফুল,
বিপুল সমারোহে ধন্য ধন্য রবে শেষ হয় পারলৌকিক।
অতীত, ভবিষ্যত, বর্তমান একবিন্দুতে এবার লীন,
চিত্রগুপ্তরা হিসেবের খাতা খুলুক বা না খুলুক,
জীবনের কি আসে যায় তাতে!