হিজলের শাখা জুড়ে জোনাকিরা সঙ্গম করে—
খোলা জানালায় মুঠো মুঠো আলো দেয় ঢেলে,
বাদুড়ের ঠোঁটে অতৃপ্ত যৌবন দোল খায় রাতে,
মোচড়ান সর্বনাশের চাদরের খাঁজে ঠিকুজির বারো ঘর—
নীচস্থ প্রেমের গ্রহ মাথাকুটে মরে খিড়কির চৌকাঠে,
তবু জোনাকিরা সঙ্গম করে হিজলের শাখা জুড়ে।
রাত চোখ আলপথ খোঁজে কুয়াশায় ভেজা শরীর,
হয়তোবা ঘাম ঝরে পাথরের গা বেয়ে উদভ্রান্ত বেগে,
ভেসে থাকা জলজের শেকড় ছোটে কচি পাঁকের বুকে,
তবু আমি হাঁটি বাতাসের হাতে হাত রেখে রাতের সাথে।
তবু আমি কাঁদি বৃষ্টির চোখে চোখ রেখে মেঘেদের সাথে,
হয়তো হাসিও!কালো আলোর ঠোঁটে ঠোঁট রেখে নিরুত্তাপে,
দর কষাকষি করি দাঁতে দাঁত চেপে মৃত্যুদূতের বেচাকেনায়।
তারপরও যদি কেউ বলে তুমি আছো বেঁচে—
আমি তো তখন আরো বাঁচি,আরো জোরে,
স্বাতী নক্ষত্রের জল তিলক এঁকে মাথায় মৃত্যুকে বন্দী ক’রে।
রাত তো এখনো অনেক বাকি,জাগে নি সকালের পাখি,
তাইতো এখনো হাঁটি সময় পেছনে রেখে আরো গভীরে,
জানালায় ঢেউ তোলা জোনাকির আলো পথ ধরে,
অশান্ত হিজলের দোল দেওয়া বাতাস মেখে—
দূরে বহুদূরে......!!