কেউ কোনোদিন পারে নি বাঁধতে ঘর—
তবু ভালোবেসে তাঁবু কাঁধে আপ্রাণ ছুটে,
জলাজঙ্গল ভেঙে পৌঁছতে চায় উঁচু মাটির খন্ডদেশে।
অস্থায়ী যাযাবর বিশ্রাম—আবার ফুরাবে সময়,
জন্ম জন্মান্তর ধ’রে কোনো প্রস্থান নেই কোনখানে,
শুধু প্রবেশের পথ অন্তহীন বাঁকানো সিঁড়ি বাওয়া!
বিভ্রম দৃষ্টিতে আকাশ বারবার মেশে যেথায় মাটির সাথে—
হাতছানি ডাক থামে না কোনো প্রত্যাখানে,
দাঙ্গাবাজ শরীর যুদ্ধ করে গুরুমস্তিষ্কের প্রান্তরে,
শুধু সেখানেই যেতে চাওয়া--জানা নেই যে ঠিকানা।
কোথাও যদিবা খাটানো যায় তাঁবু টান টান,
নিশ্বাসে পুড়ে দড়ি,উড়ে যায় ছাই নগ্ন হাওয়ায়,
চেরা জিভের উষ্ণ প্রস্রবণ, কামনার চোখে,
এক বসন্ত থেকে আর এক বসন্তের দিকে চেয়ে!
শুধু থেমে থেমে গড্ডালিকা গমন নিরুদ্দেশে,    
হাজার তারা চোখে কোথায়—কেন যেতে চাওয়া,
জানা নেই! তবু ছুটছে জীবন ঝাঁকে ঝাঁকে।
ভিন গ্রহ থেকে দূরবীনে হয়তোবা যাবে দেখা,
মৃত্যুহীন জন্মভূমি এই পৃথিবীর খানাখন্দ হতে,
নির্গত লার্ভারা বেয়ে যেতে চায় কোথাও।
শুধু জন্ম দিয়ে যাওয়া জন্ম নিয়ে যাওয়া,
আর শুধু ঠিকানাহীন যুক্তিহীন যুদ্ধহারে,
কোথাও থমকে থেমে স্থির সূর্যের গায়ে,
মিথ্যা উদয় অস্ত আর চলমান তকমা পরিয়ে দেওয়া।
জানা নেই, তবু হাঁটা চাই কাঁধে ঝোলানো ঝুলি,
কোথাও নাকি বাঁধা যাবে টান টান তাঁবু,
সেখানেই নাকি শুধু গুটিপোকা প্রজাপতি হবে,
উঁচু মাটির খন্ডদেশ হতে আবার বয়ে যাবে,
দলা পাকানো লার্ভার দল লাভা স্রোতের মতো,
বৃথা অন্তমিল আকাঙ্ক্ষায়, নিরুদ্দেশে।
হয়তো বা তাই এই মৃত্যুহীন দ্বীপ জুড়ে,
বেঁচে থাকে শুধু যুদ্ধসম্ভার শরীর॥