ওই দূরে, অনেক দূরে—
ঝাপসা নীল সীমানায়—জ্বলছে আগুন!
কোন্ রক্তের স্রোত স্থির ওইখানে—
কারা দুইজনে গভীর চুম্বনে নীথর—
দৃষ্টির শেষপথে জ্বেলে রাখে আলো,
বাধাহীন,গা ভাসানো চোখে তাই শিখা,
পলকের বাধাতেও থাকে লেলিহান,
নামহীন গোত্রহীন বিস্তৃত অনুভবে!
সে নয়তো শুধু বিভ্রমে পূর্ণ কল্পছবি!
তবে কেন অধরা সে প্রকাশের পথে?
সে যে আরো যায় ক্রমে সরে সরে—
নীল গ্রহদের চোখে চোখ রেখে।
কোন্ অভিসারে বহুকাল ধরে প্রবাহের শেষে—
কেন ওরা নিলাজ!হাজার স্বপ্ন চোখের পরে,
ছলনায় মূর্ত মূর্তি—
হয়তো আর যাবে না ছোঁয়া—
ফিরতে হবে সেই অন্ধ গুহা পথে,  
তাই বন্ধ হয়েছে সবে—
দেখতে না চাওয়া চোখ।  
তারপর কোনো ক্ষণে কাঁধে হাত রেখে,
হয়তো বা বলে যাবে কেউ—থামো!কি দেখছ?
অস্তগামী সূর্যের ছবি?যদি তাই দেখো,
তার সাথে দেখো ভেজা শরীর আগুন,
গভীর মিলনে লীন,আকাশের রক্তিম মুখ।
পৃথিবীর বুকে কেমন গিয়েছে মিশে,
চিরকাল ওরা থেকে গেছে দূরে,
তবু থাকে ওইভাবে,আঁকে ছবি—
অমলিন মিলনের সুখে,শাশ্বত সুখ সৌরভে,    
দেখো চেয়ে বার বার ওই দূরে, অনেক দূরে—
এরপর সন্ধ্যার শেষ পাখি ফিরে যাবে বাসায়,
শূন্য দিগন্তে তখন হয়তো দাঁড়াবে রাত্রি,
ক্রমে হারাবে সে ছবি,গভীর অন্ধকারে।
তখন পারবে না যেতে —সে ছবির ঠিকানার ঘরে।      
হয়তো আমিও......!!!!!!