দিব্যি বেঁচে আছি এই জীবিত ভূখণ্ডে—
কুমোরের দুই হাত ডুবোনো কাদা জলে,
স্বপ্নাতীত নির্মাণে!
কিংবা স্বাতী নক্ষত্রের জলে জমানো মৃগকস্তুরী,
আর উত্তরার গর্ভ জাত আগামীর দৃষ্টি হয়ে,
দিব্যি বেঁচে আছি—বেঁচে আছি আজও,
বৃথা ইচ্ছা মৃত্যুর প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হই নি তাই!
শুধু তুমি বিশ্বাস করো একবার!
একবার কান পাতো গিয়ে পাহাড়ের গায়ে,
শুনে এসো আহ্বান—
কালো পাথরের গর্ভে জীবন্ত অগ্ন্যুত্পাতের আন্দোলন!
বিপন্ন অস্তিত্বের লাভা স্রোত ঠিক পথ নেবে চিনে,
অবিশ্বাসের অস্থির প্রবাহে কষ্টি পাথর ছুঁয়ে,
তারপর একদিন—
মোহনায় মিশবেই নীল চোখের আলিঙ্গনে!
তুমি তো খুঁজেছ শুধু মোঙ্গোলিয়ার নির্জন পথে,
আর আমার এক আকাশ মেঘ অভিশপ্ত দ্বৈপায়ন,
তবু তুমি বিশ্বাস করো—
আমি আছি,হলুদ আগুনের নিস্তব্ধতায়!
তোমার ঘুমন্ত চোখের অন্তহীন চাহনীতে,  
কোনো একদিন শোণিত স্রোতের উষ্ণ নিশ্বাস,
গভীর আরও গভীরের কোনো তল হতে,
অবাধ্য বাতাসের চুম্বনে উন্মত্ত ঢেউ শরীর,
যেদিন ছুঁয়ে যাবে তোমার নীথর নগ্ন তট,
সেদিন অন্তত একবার বিশ্বাস করো—
আমি বেঁচে আছি!
হয়তো বেহুলার জড়ো করা হাড়ের ঝুলিতে,
নয়তো ঘাসের উপরে জমা যৌবন্মত্ত শিশিরে,    
এই অবিনশ্বর জীবিত ভূখণ্ডে—
তোমার অসামরিক শব্দের নির্গমনে,
অচেতন গোপন আমন্ত্রনে,হয়তো অকারণে!