আমায় নিস্তরঙ্গ করতে পারনি তুমি আজও—
আমার অগম্য স্নায়ুতন্ত্রের কর্ষিকা,এখনো বিনিদ্র!
তোমার প্রবাহিত মাত্রা থেমেছে তার আগে,
ফিরে গেছ, হয়তো বা শেষ হয়ে গেছ,
বরং বলা যায় লুপ্ত হয়েছ—
অসম্ভব উন্মাদ বাতাসের মতো,ঝড়ের পরে!
তোমার জেদি যাতায়াতে শুধু নিভেছে আগুন,
কখনো দেখ নি ফিরে বরফ জমা মাংসপিন্ড,
তবু তার কোনো গহীন অলিন্দে থেকে গেছে,
আমৃত্যু চিরকুমার জীবিত সংবহন।
আমি এখনো,তখনো, এমনকি এমনি চিরকাল,
অন্ত প্রবাহে তবু বেঁচে থাকি,আছিও ফল্গুর মতো,
আমার একলা চলার পথে তবু জ্বালি আগুন,
পাঁজরের হাড়ে—
তোমার হিরোশিমা নাগাসাকি চেষ্টার পরেও,
অঙ্কুরিত হয়ে চলি হিমসাগর পাতার প্রতি কোনায়,
আমি শুধু ছুঁতে চেয়েছিলাম তোমায়, তুমিও—
আমি তো আমার নাক্ষত্রিক আকাশে একফালি চাঁদ,
একমুঠো জ্যোত্স্না  খুঁজতে চেয়েছি তোমায় নিয়ে,
সেখানে তোমার ভ্রমোন্মাদ,বিলাসী নিশ্বাস নিভিয়েছে দীপ,
আমার অন্তিম দৃষ্টির চোখে দেখেছি তোমার চেরা জিভ,
তবুও—
নটে গাছ আছে বেঁচে আজও, কথা যে ফুরোয় নি তার,
শেষ শেকড়ের মুখ দিয়ে এখনো সিঞ্চিত জল,
অবগাহন করিয়ে চলে জীবিত প্রতি পরমাণুতে!
আবারও ডালপালায় জাগে উদ্ঘাতী শান্ত যৌবন,
তোমার হিরোশিমা নাগাসাকি চেষ্টার পরেও,
উন্মোচিত পাতায় জেগে থাকে উত্তরণ॥